জলে পোকা, ক্ষোভ বাঁকুড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
গরম পড়তেই ফি বছরের মতো এ বারও বাঁকুড়া পুরএলাকায় জলের সঙ্কট শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার নলবাহী জলের সঙ্গে পোকা বের হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফাঁসিডাঙা এলাকায়। এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পুরসভার নলবাহী জলে পোকা, নোংরা বের হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা চায়না মালাকার, সরলা বাগদি-র অভিযোগ, “সারাদিনে মাত্র আধ ঘণ্টা জল পাওয়া যায়। তাতেও কেঁচো, ছোট পোকা, নোংরা বের হচ্ছে। এই জল ছেঁকে খেতেও ভয় করছে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই সমস্যার কথা স্থানীয় কাউন্সিলরকে বার বার জানালেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের শান্তি সিংহের সঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৭ টি ‘রিজার্ভার’ রয়েছে বাঁকুড়া পুরএলাকায়। পুরসভার জল দফতরের সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সাধুচরণ নন্দী বলেন, “মাস ছ’য়েক আগেই আমরা রিজার্ভারগুলি পরিশুদ্ধ করেছি। তাই রিজার্ভার থেকে জলে নোংরা মেশার সম্ভাবনা কম। মনে হয়, জলের পাইপ কোথাও ফেটে গিয়ে থাকতে পারে। সেখান থেকেই জলে নোংরা ঢুকছে।” বাঁকুড়ার পুরপ্রধান শম্পা দরিপা বলেন, “ওই এলাকায় সাময়িক ভাবে এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পাইপলাইন ফেটে এই বিপত্তি হয়েছিল।” তাঁর দাবি, “আমরা ওই এলাকার পাইপলাইন পরীক্ষা করে পরিশুদ্ধ করে দিয়েছি।” |
বন্ধে প্রভাব পড়ল না
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া ও মানবাজার |
সারেঙ্গায় মাওবাদীদের ডাকা বন্ধের ছবি দু’টি তুলেছেন উমাকান্ত ধর। |
মাওবাদীদের ডাকা ২৪ ঘণ্টা ভারত বন্ধে বুধবার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে তেমন সাড়া পড়ল না। দক্ষিণ বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় অল্পকিছু দোকান বন্ধ থাকলেও পুরুলিয়া ছিল স্বাভাবিক। বাঁকুড়ার বারিকুল, রানিবাঁধ, সারেঙ্গা, রাইপুর প্রভৃতি এলাকায় এ দিন বেসরকারি বাস রাস্তায় দেখা যায়নি, তবে ট্রেকার-সহ ছোট ভাড়া গাড়িগুলি চলাচল করেছে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, বলরামপুর, বাঘমুণ্ডি, জয়পুর, ঝালদা প্রভৃতি এলাকায় বেসরকারি বাস চলাচল করেছে। অফিসগুলিতেও হাজিরা স্বাভাবিক ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। খাতড়ার মহকুমাশাসক দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “কিছু এলাকায় বাস না চললেও ছোট ভাড়া গাড়ি চলেছে। সব দফতরে এ দিন অধিকাংশ কর্মী হাজির ছিলেন।” |
আঙুর চাষের প্রশিক্ষণ শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • তালড্যাংরা |
কৃষকদের আঙুর চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে। এই চাষের পদ্ধতি সম্বন্ধে কৃষকদের ওয়াকিহাল করতে বুধবার তালড্যাংরায় রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতর একটি প্রশিক্ষণ শিবির ও আলোচনাচক্রের আয়োজন করল। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সুপ্রতীক মৈত্র, বেশ কয়েকজন বিডিও-রা। এ দিন প্রায় ৭০ জন চাষির হাতে আঙুরের চারা দেওয়া হয়। সুপ্রতীকবাবু বলেন, “শুষ্ক আবহাওয়া ও জল জমে না এমন জমি আঙুর চাষের সহায়ক। বাঁকুড়া জেলার খাতড়া মহকুমার প্রায় সর্বত্র, বাঁকুড়া সদর মহকুমারও বেশিরভাগ এলাকা সে ক্ষেত্রে আঙুর চাষের উপযুক্ত। বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী ব্লকেরও কিছু এলাকায় আঙুর চাষের পরিবেশ রয়েছে।” |
কিষান ক্রেডিট কার্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • নিতুড়িয়া |
কিষান ক্রেডিট কার্ড দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি চাষিদের কিষান কার্ড দিয়েছে নিতুড়িয়া ব্লক কৃষি বিভাগ। এলাকার ১৩০ জন চাষিকে ওই কার্ড দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন নিতুড়িয়ার বিডিও রাখী বিশ্বাস। নিতুড়িয়া ব্লকের সহকারী কৃষি অধিকর্তা পরিমল বর্মন জানান, চাষের খরচের জন্য মহাজনদের কাছ আর চাষিদের থেকে চড়া সুদে ঋণ নেওয়ার দরকার নেই। এ বার ওই কার্ড দেখিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে কম হারে ঋণ নিতে পারবেন। ঋণ শোধ করলে পরের বছর সুদের হার আরও কম করে দেওয়া হবে। |
এজলাস বয়কট
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
জেলা বিচারকের এজলাস ‘বয়কট’ শুরু করলেন বাঁকুড়া জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা। বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত জেলা জজের এজলাস বয়কট করা হবে বলে জানান, বার অ্যাসোসিয়েসনের কার্যকরী কমিটির সদস্য ব্রজবাসী বিশ্বাস। অভিযোগ, “বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে সাধারণত জেলা বিচারক সকলকে নিয়ে শোকজ্ঞাপন করেন। বাঁকুড়া আদালতের প্রাক্তন সরকার পক্ষের আইনজীবী ভবতোষ সোরেনের মৃত্যুর পর তিনি তা করেননি। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে উল্টে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন।” প্রসঙ্গত, অন্য বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা আদালতের আইনজীবীরাও মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই আদালতের সমস্ত বিচারকের এজলাস ‘বয়কট’ শুরু করেছেন। |