|
|
|
|
সুব্রত মঞ্চে ডেকে নিলেন রেজ্জাককে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের এক কর্মশালায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মঞ্চে ডেকে নিলেন ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের সিপিএমের বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকে।
বুধবার বারুইপুরে ওই জেলার বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য ও বিডিওদের ওই কর্মশালায় রেজ্জাক মোল্লা প্রথমে সাধারণ প্রতিনিধিদের আসনেই বসেছিলেন। সুব্রতবাবু ও জেলা সভাধিপতি তৃণমূলের শামিমা শেখ সভা শুরু হতেই প্রাক্তন ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রীকে মঞ্চে বসার জন্য অনুরোধ করেন। তাঁর সম্পর্কে সুব্রতবাবু বলেন, “উনি নিজেকে চাষির বেটা বলেন। তা ভালো লাগে। উনিও উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন।” তবে রেজ্জাক মোল্লার বক্তব্য, “আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তাই এসেছি। তবে উন্নয়ন কতটা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।” |
|
বারুইপুরের কর্মশালায় এক মঞ্চে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও রেজ্জাক মোল্লা। বুধবার। ছবি: পিন্টু মণ্ডল। |
এ দিনের কর্মশালায় অনুপস্থিত ছিলেন বাসন্তীর আরএসপি’র বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ নস্কর। তিনি বলেন, “আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তাই যাইনি।” জেলাশাসক নারায়ণস্বরূপ নিগম অবশ্য বলেন, “আমরা ওঁকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ করেছিলাম। তিনি পেয়েছেন না পাননি, তা বলতে পারব না।”
ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় উন্নয়নের স্বার্থে জনপ্রতিনিধি এবং আমলাদের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়ের উপরে জোর দেন সুব্রতবাবু। ক্ষমতায় আসার পরপরই গ্রামোন্নয়ন নিয়ে রাজ্যের বিডিওদের সঙ্গে সভা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রতবাবু এ দিন বলেন, “জনপ্রতিনিধি ও আমলা, এই দু’পক্ষকে একসঙ্গে পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন, “স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বিডিও-মহকুমা শাসক ও জেলা শাসকদের সম্বন্ধে সাধারণত একটি ধারণা থাকে যে, আমলারা স্থানীয় বাসিন্দা নন তাই স্থানীয় সমস্যা কিছুই বোঝেন না। এই ধারণা ঠিক নয়। আমলারাও খুব পারদর্শী।” একই সঙ্গে পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, “সংবাদমাধ্যম পঞ্চায়েতে সাফল্য ও ব্যর্থতার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে প্রচার করে। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় সাফল্য-ব্যর্থতার প্রধান দায়িত্বটা আপনাদেরই। সরকার এখানে সহযোগীর ভূমিকায় থাকে।”
তিনি জানান প্রায় ১০ হাজার কিমি রাস্তার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে কেন্দ্রর কাছ থেকে। উপস্থিত প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, “আপনারা পরিকল্পনা করুন। টাকার ব্যবস্থা আমি করব।” আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন মাথায় না রেখেই উন্নয়নে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন। শহর লাগোয়া জেলায় ১০০ দিনের কাজের পরিকল্পনার উপর বিশেষ জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। |
|
|
|
|
|