|
|
|
|
জলসঙ্কটে ক্যানিংয়ের বহু এলাকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
গরম বাড়তেই তীব্র পানীয় জলসঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বহু জায়গাতেই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে পানীয় জলের নলকূপ। পানীয় জল সংগ্রহ করে আনতে হচ্ছে দূরের গ্রাম থেকে। পানীয় জলের সঙ্কটের জন্য পঞ্চায়েত-জেলা প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ওই সব এলাকার মানুষ।
ক্যানিং মহকুমার শহর এলাকা ছাড়াও গোসাবা, বাসন্তী প্রভৃতি এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ক্যানিং শহরে পানীয় জল সরবরাহ করা হয় পাইপ লাইনের মাধ্যমে। কিন্তু সেই সরবরাহও নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। গোসাবা বাজারে পানীয় জল নিতে তাঁদের রাত ১০-১১টা পর্যন্ত লাইন দিয়ে থাকতে হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। প্রচণ্ড গরমে বেশিরভাগ জায়গায় পুকুরের জলও তলানিতে ঠেকেছে। কোনও কোনও জায়গায় ২-৩ কিলোমিটার হেঁটে পানীয় জল আনতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। |
|
— নিজস্ব চিত্র। |
ক্যানিং মহকুমার হাটপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা খাদিজ বিবি বলেন, “গ্রামে পানীয় জল নেই। অনেক দূরে নলকূপ। রোজই সেখান থেকে খাবার জল নিয়ে আসি। অন্যান্য কাজকর্ম পুকুরের জলেই সারতে হচ্ছে।” পুকুরের জল ব্যবহারের কারণে জলবাহিত রোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গোসাবার বিভিন্ন এলাকা যেমন রাঙাবেলিয়া, সাতজেলিয়া, পাখিরালয়, কচুখালি, দয়াপুর, লাহিড়ীপুর এবং বাসন্তীর গরানবোস, আনন্দবাদ, ভরতগড়, এলাকায় আয়লার সময় বহু গভীর নলকূপ অকেজো হয়ে গিয়েছিল। পরে ওই সব এলাকার মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কিছু গভীর নলকূপ বসানো হলেও সেগুলিরও বেশিরভাগই অকেজো হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে গোসাবার কিছু এলাকায় বিদ্যুদয়ন হয়েছে। স্থানীয় মানুষের দাবি, বিদ্যুদয়নের পাশাপাশি এখানকার মানুষের যাতে জলের সঙ্কট মেটে সে দিকেও প্রশাসন নজর দিক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষের কারণে যথেচ্ছ ভাবে মাটির নীচে থেকে শ্যালো পাম্প দিয়ে জল তোলার কারণে জলস্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় গভীর নলকূপগুলি অকেজো হয়ে পড়ছে। তবে চেষ্টা হচ্ছে ফের গভীর নলকুপ বসিয়ে সমস্যা সমাধানের।
ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক শেকর সেন বলেন, “গরমে মাটির নীচে জলস্তর নেমে যায়। ফলে বহু জায়গায় গভীর নলকূপগুলি খারাপ হয়ে পড়ায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। গভীর নলকূপ বসানো ব্যয়বহুল। তা সত্ত্বেও চেষ্টা হচ্ছে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জায়গায় গঙীর নলকূপ বসিয়ে জলকষ্ট মেটানোর।” |
|
|
|
|
|