গুণিনদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন, বলছে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
গুণিনদের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ।
হরিহরপাড়ার সাহেবপাড়ায় ছিন্ন মস্তক গঙ্গারাম মালপাহাড়িয়ার দেহ উদ্ধারের পরে স্থানীয় তিন গ্রামবাসীকে জেরা করে খুনের পিছনে এমনই কোনও কারণ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশের সন্দেহ, গুণিন বা ওই ধরনের পেশায় জড়িয়ে থাকা দুই গোষ্ঠীর রেষারেষিরই শিকার হয়েছেন গঙ্গারাম। বয়সের ভারে নূব্জ্য হয়ে পড়লেও আদিবাসী ওই বৃদ্ধ যে এখনও এলাকায় গ্রামীণ আদিবাসীদের বিভিন্ন ‘আপদে-বিপদে’ ভরসা ছিলেন তা জানতে পেরেছে পুলিশ। অন্য গোষ্ঠীর ‘বিষ নজরে’ পড়ার ফলেই তাঁকে শেষ পর্যন্ত খুন হতে হয়েছে। জলপড়া, কুলোচালার পাশাপাশি আদিবাসী জীবনযাপনের নানান ওঠাপড়ায় গুণিন, ওঝা কিংবা এই ধরনের সংস্কার নির্ভর পেশায় জড়িয়ে থাকা এই সব মানুষের প্রভাব যথেষ্ট। |
|
বহরমপুর আদালতে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র। |
সাধারণ আধিবাসীদের মধ্যে তাদের ‘স্থান’ যথেষ্ট ‘উঁচু’তে। বিশ্বাসের সঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্র চক্রবর্তী তদন্তের স্বার্থে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তবে আদিবাসীকুলের মধ্যে সংস্কারের ছায়া যে এখন বেশ প্রবল তা মেনে নিয়েছেন তিনি। এবং সেই সূত্র ধরেই যে প্রভাব-প্রশ্নে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ তাও ধৃত তিন জনকে জেরা করে জানতে পেরেছে পুলিশ।
বুধধার এ দিন ধৃত তিন জনের মধ্যে সনাতন মাল, ট্যারা মালকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক। তবে ধৃত টুনি মালের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ জানায়, সনাতন মাল পেশায় গুণিন। তাদের ‘পেশাগত’ বিবাদও নতুন নয়। বছর পাঁচেক আগে তাদের মধ্যে গণ্ডগোলও হয়েছে। সে বিবাদ পরে মিটে গেলেও পুলিশের অনুমান, তলে তলে বিবাদ ছিলই। সেই বিবাদের জেরেই খুন? তেমনই মনে করছে পুলিশ। |
|