টোলগেকে নিয়ে বুধবার সারাদিন ধরে চলে নানা নাটক। ময়দানের গণ্ডি ছেড়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে সকালে পৌঁছে যায় ইস্টবেঙ্গল বনাম টোলগে ‘যুদ্ধ’। ওই ব্যাঙ্কেই টোলগের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে এ দিন সকালেই আর এন মুখার্জি রোডের একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ২৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৭০ টাকার একটি চেক (নং ৩২১৯৯৩) আসে। ১২ মে তারিখের এই চেকটি আসে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে। ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ইউ বি ইস্টবেঙ্গল কোম্পানি থেকে টোলগে শেষ চেক পেয়েছেন ৯ এপ্রিল। ৬ লাখ ২৬ হাজার ২৪১ টাকার (চেক নং ১৬৫৯১১)। তারপর ইউ বি-র কোনও চেক তিনি পাননি।
টোলগে জানান, সল্টলেকের ব্যাঙ্কে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন তাঁর নামে কোনও চেক এলে তা যেন ক্রেডিট করা না হয়। চেক এসেছে খবর পেয়েই ব্যাঙ্কে আসেন টোলগে। ভিড় করে মিডিয়া। টোলগে বলেন, “আশঙ্কা করেছিলাম এরকম কিছু করতে পারে। সে জন্য ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়ে রেখেছিলাম।” টোলগে তাদের চেক ফেরত পাঠিয়েছেন শুনে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কর্তা দেবব্রতবাবুর মন্তব্য, “আমরা মাইনের চেক পাঠিয়েছি। সেটা টোলগে নেবে না, ফেলে দেবে সেটা ওর ব্যাপার। আমাদের ব্যাঙ্ক থেকে টাকাটা কিন্তু চলে গেছে। ওর সই করা ভাউচারও আছে।” বিকেলে চেকটা কী জন্য কাটা হয়েছে তা নিয়েই তৈরি হয় নানা ধোঁয়াশা। সেটা অগ্রিমের না মাইনের ধোঁয়াশা তা নিয়েই। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “ইস্টবেঙ্গল টোলগের ২০১২-১৩ মরসুমের অগ্রিমের ভাউচার জমা দিয়েছে।” কিন্তু দেবব্রতবাবু টিভি ক্যামেরার সামনে বারবার বলেছেন, “মাইনের চেক পাঠানো হয়েছে।” রাতে আবার জানা যায়, টোলগের শোকজের জবাবের পাল্টা উত্তর দেন ইস্টবেঙ্গল সচিব। লিখেছেন, “অগ্রিমের টাকাই ভাউচারে সই করে নিয়েছেন আপনি।” টোলগে এ দিনই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বান্ধবিকে নিয়ে চলে যান মোহনবাগানের দেওয়া ফ্ল্যাটে। অর্থ সচিব দেবাশিস দত্তের সাহায্যে তৈরি করেন জবাব। সঙ্গে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার খুঁটিনাটিও। মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র এ দিন টোলগের পাশে দাঁড়িয়ে বলে দিলেন, “ইস্টবেঙ্গল টোলগের টোকেন আটকে রেখেছে। এটা অন্যায়।” পাল্টা ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রতবাবু বললেন, “ওনাকে কে বলল আমরা টোকেন আটকে রেখেছি?” |