আইপিএলে স্পটফিক্সিং দুর্নীতি বেরিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে অস্ত্র করে আবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের চাপের কৌশল শুরু হল। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন আজ বলে দিলেন, “ক্রিকেটে এ সব দুর্নীতি, কালো টাকার লেনদেনের অভিযোগের কারণেই তো চাই ভারতীয় বোর্ড আরটিআইয়ের আওতায় আসুক। তাতে বিসিসিআই নিজেদের স্বচ্ছতার প্রমাণও দিতে পারবে।” একটি চ্যানেলের স্টিং অভিযানে আইপিএলে গড়াপেটার ভূত বেরিয়ে আসার পরে অভিযুক্ত ত্রিকেটারদের সে দিনই সাসপেন্ড করে বোর্ড। কিন্তু ক্রীড়ামন্ত্রীর চোখে এই শাস্তি সামান্য এবং লোক দেখানোও। এ দিন নয়াদিল্লিতে মাকেন নিজের অফিসে বসে বলে দিলেন, “সমস্যাটা অনেক গভীরে। মাত্র পাঁচ জনকে লোক দেখানো সাসপেন্ড করে নিজেদের হাত ধুয়ে ফেললে চলবে না। বোর্ডের উচিত সমস্যাটার গভীরে যাওয়ার।”
আইপিএলের সরাসরি আয়োজন না করে ক্রিকেট বিশ্বের ধনীতম এই টুর্নামেন্টের থেকে বোর্ডকে দূরত্ব রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। মাকেনের কথায়, “বোর্ডের উচিত আইপিএলের থেকে নিজেদের সম্মানজনক দূরত্ব রাখা। তা হলেই বোর্ডের নাম এ ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়াবে না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ-ও তো বিশাল ধনী টুর্নামেন্ট, কিন্তু ইপিএল কিংবা ইউরো কাপের সঙ্গে ফিফা সরাসরি যুক্ত নয়। ফিফা ওই বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করে না। তার জন্য অন্য সংগঠক কমিটি আছে। শুধু ফুটবল নয়, অন্য খেলাধুলোতেও এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করে না ফেডারেশনগুলো।” অন্য দিকে, শাস্তিপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের নিজেদের সাফাই দেওয়ার পর্বও শুরু হয়ে গেছে। যেমন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের সলভ শ্রীবাস্তব আজ তদন্ত কমিশনের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, তিনি হাঁটুর চোটের কারণে গত এক মাস লখনউয়ে বাড়িতেই রয়েছেন। চলতি আইপিএলে একটি ম্যাচও খেলেননি। সেক্ষেত্রে তিনি কী ভাবে স্পটফিক্সিং করবেন? পঞ্জাব অধিনায়ক ডেভিড হাসি-ও বলেছেন, “প্লেয়ারদের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনুচিত।” |