|
|
|
|
বিজ্ঞান সচেতনতা বাড়াতে জেলা-স্তরের প্রতিযোগিতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা-স্তরে তিন দিনের এক প্রতিযোগিতা শেষ হল বুধবার। গত সোমবার থেকে মেদিনীপুর শহরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ২২০টি স্কুল যোগ দেয়। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন মডেল তুলে ধরে। বিচারকেরা একের পর এক টেবিলে গিয়ে সেই সব মডেল খুঁটিয়ে দেখেন। ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট মডেল সম্পর্কে জানতে চান। কেউ যেমন ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন’ নিয়ে প্রোজেক্ট তৈরি করেছিল, কেউ আবার ‘বৃষ্টির জল সংরক্ষণ’, ‘তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর’ প্রভৃতি বিষয়ের উপরে প্রোজেক্ট তৈরি করেছিল। নিজেদের হাতে তৈরি মডেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে এসেছিল কুলসুমা খাতুন, পৌলমী ঘোষ, অঞ্জন মণ্ডল’রা।
‘বিশ্ব উষ্ণায়ন’ নিয়ে মডেল তৈরি করেছিল অষ্টম শ্রেণির কুলসুমা। কেন এই ভাবনা? এক বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে কুলসুমা বলে, ‘গাছপালা শুকিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয় এখনই সাধারণ মানুষকে সতর্ক হতে হবে।” |
|
ডিআই অফিসে বিজ্ঞান প্রদর্শনী। নিজস্ব চিত্র। |
কী ভাবে উষ্ণায়নের প্রভাব জনজীবনে পড়ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, নিজের হাতে তৈরি মডেলে তাই তুলে ধরে ওই ছাত্রী। তড়িৎ-শক্তি থেকে কী ভাবে যান্ত্রিক শক্তি তৈরি হয়, সেই নিয়ে মডেল তৈরি করেছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী পৌলমী। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের পাশেই
এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সোমবার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছিলেন মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সংঙ্ঘমিত্র মাকুড়, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (শিক্ষা) কল্লোল রায় প্রমুখ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।
জেলা-স্তরের পর জুন মাসে রাজ্য-স্তরে, তার পর জাতীয়-স্তরে এই প্রতিযোগিতা হবে। কল্লোলবাবু বলেন, “বিজ্ঞান সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এই প্রতিযোগিতা।” তাঁর কথায়, “এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা যেমন বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তেমন নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকেও কাজে লাগাতে পারে। তাদের মধ্যে বিজ্ঞান-মনস্কতা গড়ে ওঠে।” জেলা-স্তরের প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক ও খড়্গপুর আইআইটি-র এক অধ্যাপক। |
|
|
|
|
|