|
|
|
|
ক্ষুদ্রশিল্পের জট কাটাতে জেলায় নজরদারি কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রয়োজনীয় জমি চেয়ে প্রশাসনের কাছে দরবারও করছেন অনেকেই। রাজ্য সরকারও চাইছে, প্রতিটি জেলায় ক্ষুদ্রশিল্পের সংখ্যা বাড়ুক। এতে কাজের সুযোগ বাড়বে। কিন্তু, শিল্প করতে এসে হোঁচট খাচ্ছেন অনেকেই। অন্তত, অভিযোগ এমনই। কোথাও জমি পেতে সমস্যা তো কোথাও বিদ্যুৎ পেতে। কারও আবার ব্যাঙ্ক-ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে।
এই সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গড়া হল নজরদারি কমিটি। ১৯ সদস্যের এই কমিটির চেয়ারম্যান জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, কনভেনর জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রহ্লাদ হাজরা। কমিটিতে রয়েছেন খড়্গপুরের বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহনপাল, মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, জেলা পরিষদের ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের কর্মাধ্যক্ষ রতন দে। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন দুবে, খড়্গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, যত দ্রুত সম্ভব নজরদারি কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। ক্ষুদ্রশিল্পের প্রসারে আরও কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ৪ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। রাজ্য সরকারের মনোভাব বুঝে এখন আবার অনেকেই ক্ষুদ্র শিল্প করতে এগিয়ে আসছেন। ফলে, জেলা প্রশাসনও সব দিক খতিয়ে দেখে শিল্পোদ্যোগীদের সব রকম ভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করছে। যেমন, মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ‘খাসজঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টারে’ দ্বিতীয় দফার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় এখানে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমিতে ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠেছে। দ্বিতীয় দফায় আরও প্রায় ২৫ একর জমি উৎসাহী উদ্যোক্তাদের লিজে দিতে চলেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ওই পরিমাণ জমি শিল্পে ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তোলাও হয়েছে। এই ২৫ একর জমিতে ১০০টিরও বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে উঠবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কর্মসংস্থান হতে পারে কয়েক হাজার বেকার যুবক-যুবতীর। এখন এখানে ২৬টি ছোট ও মাঝারি কারখানা রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সব মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার মানুষ এখানে কাজ করেন। জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রহ্লাদ হাজরা বলেন, “শিল্পোদ্যোগীদের আমরা সব রকম সহায়তা করার চেষ্টা করি। এর ফলে এক দিকে যেমন শিল্প গড়ে ওঠে, কারখানা থেকে উৎপাদন হয়, অন্য দিকে তেমন কর্মসংস্থানও তৈরি হয়। বেকার যুবক-যুবতীরা কাজ পাবেন।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নজরদারি কমিটি প্রতি দু’মাসে অন্তত এক বার বৈঠকে বসবে। শিল্প করতে এসে কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সমস্যা হলে সেটা কী, কোন দফতর বিষয়টি দেখছে, কমিটি এ সবই খতিয়ে দেখবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জট কাটানোরও চেষ্টা করবে। এর ফলে শিল্পোদ্যোগীরাই উপকৃত হবেন বলে প্রশাসনের বক্তব্য। সেই সঙ্গে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা-ও খতিয়ে দেখে কমিটি পদক্ষেপ করবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি মাসের মধ্যেই কমিটির প্রথম বৈঠক হবে। |
|
|
 |
|
|