|
|
|
|
বর্ষপূর্তির বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্কে জয়ললিতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সরকারের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন। তাই শুধু তামিলনাড়ুরই নয়, দেশের প্রথম সারির প্রায় সব ইংরেজি দৈনিকই চার পাতার বিজ্ঞাপনে (বিজ্ঞাপনী পরিভাষায় জ্যাকেট বা কভার অন কভার) মুড়ে দিয়েছিলেন এডিএমকে নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। পরিকল্পনা ছিল, এক বছরের সাফল্যের খতিয়ান শুধু রাজ্যবাসী কেন জানবে! জানুক গোটা দেশ। আর তা করতে গিয়ে এখন বিতর্কের মুখে পড়ে গিয়েছেন জয়ললিতা। এই অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
কত খরচ হয়েছে ওই বিজ্ঞাপনে? একটি সূত্রে জানা গিয়েছে অঙ্কটি ১৫ কোটির কাছাকাছি। টুইটারে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের দাবি, টাকার অঙ্ক অন্তত ৫০ কোটির কাছাকাছি। ভারত যখন আর্থিক সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে, তখন আম-আদমির করের টাকায় এই ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত। এ দিন তিনি বলেন, “ক্ষমতায় এলেই সাধারণ মানুষের টাকা অপচয় করা অনেক রাজনৈতিক দল অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছে। এটা বরদাস্ত করা যায় না।” পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে যে ভাবে বিনা মূল্যে চাল, বিবাহযোগ্যা মেয়েদের ৪ গ্রাম করে সোনা, গরীবদের দুধেলা গরু বা ছাত্র-ছাত্রীদের ল্যাপটপ দেওয়ার ঢালাও ঘোষণা রয়েছে, তা আদৌ বাস্তবে পালন করা সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকেই।
কয়েক দিন পরেই পশ্চিমবঙ্গেও নতুন সরকারের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন। গত এক বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রচার মাধ্যমে যে পরিমাণ টাকার অঙ্কের বিজ্ঞাপন দিয়েছে তা নিয়ে একাধিকবার কটাক্ষ করেছে বাম নেতৃত্ব। সিপিএম শিবির মনে করছে, আগামী ২০ মে তামিলনাড়ুর ধাঁচেই প্রচার মাধ্যমগুলিতে বিজ্ঞাপনে বন্যা বইয়ে দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ডেরেক অবশ্য আজ টুইট করেছেন, “বিজ্ঞাপন জগতের এক জন বলছেন, তামিলনাড়ু সরকারের বর্ষপূর্তির বিজ্ঞাপনে ৫০ কোটি খরচ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কি তার সঙ্গে পাল্লা দেবে? না, না, না। আমরা গরিব রাজ্য...।”
তবে আজ তামিলনাড়ুর প্রায় সব খবরের কাগজ ওই বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকলেও বাদ পড়েছিল সম্ভবত একটি দৈনিকই। যা রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী ডিএমকে পরিচালিত সংবাদপত্র। এক বঙ্গ সাংসদের বক্তব্য, “আমরা-ওঁরার বিভাজন তা হলে শুধু পশ্চিমবঙ্গের একার সম্পত্তি নয়। তামিলনাড়ুতেও দেখছি তা দিব্যি রয়েছে।” |
|
|
|
|
|