|
|
|
|
সরকারি টিভিতেও জয়ার মুখ কেন, নালিশ রাজ্যসভায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
‘সিলসিলা’র সেই ক্লাইম্যাক্স ফ্রেমে দু’জনে দাঁড়িয়েছিলেন একে অপরের থেকে পিঠ ফিরিয়ে। ‘পতি’ এবং ‘পেয়ার’-এর চিরন্তন দ্বন্দ্ব চিত্রনাট্য ছাপিয়ে বাস্তবের জমিতে নেমে এসেছিল সে সময়। ৩১ বছর পার হয়েও সেই ‘সিলসিলা’ যে একই ভাবে বহমান, (রেখার শপথ গ্রহণের আগে, সেই সময়ে, এবং তার পরেও) সেটা প্রত্যক্ষ করছে রাজধানী।
আজ রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন হামিদ আনসারির কাছে কয়েক জন সাংসদ অভিযোগ জানান, রেখার শপথ নেওয়ার সময় ক্রমাগত জয়া বচ্চনকেই কেন দেখিয়ে গিয়েছে রাজ্যসভা টিভি। সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাজীব শুক্ল নিজে আজ বলেন, রেখার শপথ গ্রহণের সময় রাজ্যসভা টিভির সম্প্রচারে জয়াকে দেখিয়ে যাওয়া নিয়ে কিছু সাংসদ অভিযোগ জানিয়েছেন। এমনকী সংবাদমাধ্যমের একাংশ এ-ও দাবি করে যে, ক্ষুব্ধ জয়া নিজেই এ ব্যাপারে আনসারির কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু রাতে রাজ্যসভার সচিবালয়ের তরফে বলা হয়, জয়া বচ্চন কোনও অভিযোগ জানানি। |
|
ঘটনা হল, শপথ গ্রহণের দিন রেখা রাজ্যসভায় প্রবেশ করার পর থেকেই, ক্যামেরা যতটুকু সময় ধরেছে তাঁকে, প্রায় ততটুকু জয়া বচ্চনকেও! ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে স্থির চোখে, গম্ভীর হয়ে বসে রয়েছেন জয়া। ভাবলেশহীন। রেখার শপথের পর প্রথামাফিক টেবিলে হাল্কা দু’টি চাপড় মেরেছেন বটে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। সম্ভবত যা দেখে, জয়া বচ্চন তথা সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে ‘দূরত্ব’ তৈরি হওয়া অমর সিংহ টিপ্পনির সুরে বলেই ফেলেছিলেন, ‘রেখার নতুন সিলসিলা শুরু হল!’ আজ রাজ্যসভায় জয়া নিজে যদি কিছু না বলেও থাকেন, তাঁর দলের সাংসদদের তরফেই আনসারির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যসভার সচিবালয় জানিয়েছে, রেখা আনসারিকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে টিভি সম্প্রচার সংক্রান্ত কোনও নালিশ নেই। পাশাপাশি এ কথাও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজ্যসভা অধিবেশনের সরাসরি সম্প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে দূরদর্শন, রাজ্যসভা টিভি নয়। অর্থাৎ সম্প্রচার বিতর্ক থেকে এ ভাবেই হাত ধুয়ে ফেলতে চেয়েছে তারা। রাষ্ট্রপতির মনোনীত রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে যেদিন রেখার নাম ঘোষণা হয়, সেদিন থেকেই রেখা-জয়া ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক’ নিয়ে প্রবল গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজধানীর অন্দরমহলে। সংসদে যাবতীয় আলোচনার সিংহভাগ ঘিরে থেকেছে তাঁদের নিয়ে রোমন্থন। রেখা আসবেন শুনেই রাজ্যসভায় নিজের আসনটি পরিবর্তন করে নিয়েছেন জয়া। এত দিন কক্ষের ৯১ নম্বর আসনটি বরাদ্দ ছিল তাঁর জন্য। কিন্তু তিনি আবেদন করে ১৪৩ নম্বর আসনে চলে গিয়েছেন। কেননা আসন পরিবর্তন না করলে জয়ার পিছনের সারিতেই বসতেন রেখা। ফলে বারবার মুখোমুখি হওয়া অনিবার্য ছিল। এই আসন পরিবর্তনের জন্য জয়া ‘রাজনৈতিক কারণকে’ দায়ী করলেও সংসদে গুঞ্জন বেড়েছে বই কমেনি। সাংসদদের একাংশ মনে করছেন, তড়িঘড়ি আসন পরিবর্তন করে জয়া নিজেই বিতর্কের পথ প্রশস্ত করেছেন। |
|
|
|
|
|