ছাত্র সংসদ বন্ধ রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কেই |
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদের অফিস বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদের অফিস যাতে বন্ধ থাকে, বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকেই সেই ব্যবস্থা করতে হবে বলে বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত।
গত ২৫ এপ্রিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী উপাচার্য শিক্ষা ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদের অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র সোহম মুখোপাধ্যায় এবং অন্য কয়েক জন হাইকোর্টে মামলা করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এ দিন বলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে-বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। বিশ্ববিদ্যালয় এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে বুঝিয়ে দিয়েছে, সংবিধানের উপরে তাদের কোনও আস্থা নেই। তাঁর বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ছাত্রদের একটি ইউনিয়ন ফি দিতে হয়। তার বদলে তাঁরা সংসদ কক্ষে বসে আলাপ-আলোচনা করতে পারেন। কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছাত্রদের এই অধিকার কেড়ে নিতে পারে না।
আবেদনকারীদের অন্য আইনজীবী অনন্ত সাউ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও কোনও কোনও ক্যাম্পাসে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সমর্থিত ইউনিয়ন সদস্যেরা ছাত্র সংসদের অফিস কক্ষে প্রবেশ করছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে ওই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রেও বৈষম্য করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী সুতনু পাত্র বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা ঠিকমতো পালিত হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে তিনি খোঁজ নেবেন। বিচারপতি গুপ্ত বলেন, ওই সিদ্ধান্ত সব ক্ষেত্রে সমান ভাবে রূপায়ণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কেই। বিশ্ববিদ্যালয় ব্যর্থ হলে হাইকোর্ট ব্যবস্থা নেবে। বিশ্ববিদ্যালয় এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না, তা নিয়ে মামলাটি চলবে। |