|
|
|
|
পুরভোটে নজরবন্দি হলদিয়া |
ওয়ার্ড ১ |
• মহম্মদপুর, সুতাহাটা বাজার, আমলাট, সিজবেড়িয়া নিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ড।
• এ বার মোট ভোটার ৪৩৫০। বুথ ৬টি |
রাস্তা কেমন
অধিকাংশ রাস্তাই ঢালাইয়ের। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় সরু। ফলে সমস্যা হয়। জলের হাল
বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছেছে। কিন্তু জল সরবরাহ অনিয়মিত। স্বাদেও নোনা।
পথবাতি
এলাকার সর্বত্র পথবাতি নেই। আমলাট ও মহম্মদপুর এলাকায় এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।
নিকাশি
বেহাল নিকাশি। কোথাও নর্দমা নেই। সুতাহাটা বাজারে নয়ানজুলি বুজিয়ে বাড়ি হচ্ছে।
সাফাই
আবর্জনা সাফাই হয় নিয়মিত। কিন্তু নিকাশি খারাপ বলে জল জমে পরিবেশ দূষণ হয়।
|
বিশেষ চাহিদা
সুতাহাটা বাজারে নিকাশি সমস্যার সমাধান। |
|
১ নম্বর ওয়ার্ডে বেহাল রাস্তা। |
নাগরিকের চোখে: নর্দমা চাই। পানীয় জলের সরবরাহ নিয়মিত ও পর্যাপ্ত হওয়া প্রয়োজন।
—
সুষমা ঘোষ, স্কুল শিক্ষিকা।
কাউন্সিলর বলেন: পুরবোর্ডের সহায়তা পাইনি। তবুও যতটুকু সম্ভব কাজ করার চেষ্টা করেছি।
—
শুভ্রবরণ শতপথী, তৃণমূল।
বিরোধী মত: নিরপেক্ষ ভাবে কোনও কাজ হয়নি। আগে যা কাজ হয়েছিল তা-ও রক্ষা হয়নি।
— সাধনা মাইতি, সিপিএম। |
|
|
ওয়ার্ড ২ |
• নন্দরামপুর, ধনবেড়িয়া, জগন্নাথপুর, পূর্ব শ্রীকৃষ্ণপুর ও বাসুলিয়া নিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ড।
• এ বার মোট ভোটার সংখ্যা ৫২৮১। বুথ ৬টি। |
রাস্তা কেমন
অধিকাংশ রাস্তাই মোরামের, বেহাল। কিছু জায়গায় ঢালাই রাস্তা হলেও তা সঙ্কীর্ণ।
জলের হাল
টাইম কলের জল সর্বত্র পৌঁছয়নি। সম্প্রতি ৪টি টিউবওয়েল হলেও, বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।
পথবাতি
সর্বত্র পথবাতি নেই। এই নিয়ে বাসুলিয়া, জগন্নাথপুর, ধনবেড়িয়াতে ক্ষোভ রয়েছে।
নিকাশি
নর্দমা নেই কোথাও। নন্দরামপুরে একটি খাল থাকলেও সংস্কার হয় না। নিকাশির সমস্যা প্রকট।
সাফাই
নিত্য আবর্জনা সাফাই হয় না। ফলে যত্রতত্র জঞ্জাল জমে। জমা জলে দূষণ আরও বাড়ে।
বিশেষ চাহিদা
রাস্তা পাকা করার পাশাপাশি সর্বত্র পথবাতি বসানো।
|
বিশেষ চাহিদা
রাস্তা পাকা করার পাশাপাশি সর্বত্র পথবাতি বসানো। |
নাগরিকের চোখে: পথবাতি নেই, বেহাল রাস্তা। গরমে জলসঙ্কটে নাভিশ্বাস ওঠে।
— বিশ্বজিৎ জানা, ঠিকাকর্মী।
কাউন্সিলর বলেন: পাঁচ বছরে হাল ফেরানোর চেষ্টা করেছি। পুরবোর্ড থেকে সহযোগিতা পাই না।
—
চন্দনকুমার মাজি, তৃণমূল।
বিরোধী মত: কোনও কাজ হয়নি। আগে যে কাজ হয়েছিল, তার রক্ষণাবেক্ষণেও ব্যর্থ কাউন্সিলর।
— জীবেশ মণ্ডল, সিপিআই। |
|
|
ওয়ার্ড ৩ |
• মাইতিপাড়া, উত্তরপল্লি, পানা ও দক্ষিণপল্লি নিয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ড।
• এ বার মোট ভোটার সংখ্যা ৫২০৪। বুথ ৬টি। |
রাস্তা কেমন
কিছু রাস্তা পিচ ও ঢালাই করা হলেও কাজ অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সরু রাস্তা।
জলের হাল
টাইম কলের জল সকলে পায় না। টিউবওয়েল দূরে। ভাগ্যবন্তপুরে পাম্পিং স্টেশন থেকেও জল আসে না।
পথবাতি
পানা থেকে গিরিশ মোড় পর্যন্ত পথবাতি বসেছে। বাকি এলাকা এখনও অন্ধকারে।
নিকাশি
অধিকাংশ এলাকায় নর্দমা নেই। গিরিশ মোড় থেকে সরু নর্দমা কিছু দূরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সাফাই
নিয়মিত রাস্তাঘাট সাফাই হয়। কিন্তু জল জমে বলে মশা, পোকামাকড়ের দাপট রয়েছে।
|
বিশেষ চাহিদা
বাড়ি-বাড়ি পানীয় জলের সংযোগই প্রধান চাহিদা। |
|
৩ নম্বর ওয়ার্ডে উদ্বোধনের পরেও চালু হয়নি এই জলাধার। |
নাগরিকের চোখে: টাকা দিয়ে টাইম কলের সংযোগ পেলেও সুতোর মতো জল পড়ে।
—
ভোলানাথ দাস, বন্দরকর্মী।
কাউন্সিলর বলেন: সাধ্যমতো কাজ করার চেষ্টা করেছি। এলাকার মানুষ সব জানেন।
— উমা দাস, সিপিএম।
বিরোধী মত: গত ১৫ বছরে রাস্তা, নিকাশি, পানীয় জলন্যূনতম পরিষেবা পায়নি এলাকাবাসী।
— স্বপন নস্কর, তৃণমূল। |
|
তথ্য: দেবমাল্য বাগচি, ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
|
|
|
|
|