টাকা আরও তলানিতে, ফের পড়ল সেনসেক্স
এপ্রিলে মূল্যবৃদ্ধি ৭.২৩ শতাংশে
ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে মূল্যবৃদ্ধি। এবং তা শাক-সব্জি, মাছ-মাংস-ডিম-দুধের মতো অত্যাবশ্যক খাদ্যপণ্যের হাত ধরেই।
এর ফলে সোমবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার এপ্রিলে ছুঁয়েছে ৭.২৩%। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ১০.৪৯%। গত সপ্তাহ থেকেই ডলারের তুলনায় পড়তে থাকা টাকার দাম সোমবার নজিরবিহীন ভাবে আরও তলানিতে নেমে আসে। ইউরোপীয় সঙ্কট, ব্যাঙ্ক এবং আমদানিকারীদের তরফে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়া ছাড়াও এ দিনের পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি ফের বাড়ার খবর। এই কারণেই ইতিমধ্যে ঝিমিয়ে থাকা শেয়ার বাজার থেকেও এ দিন মুখ ফিরিয়ে থাকেন লগ্নিকারীরা। মূল্যবৃদ্ধি বাড়তে থাকলে আগামী ঋণনীতিতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আর সুদ কমানোর রাস্তায় হাঁটবে না, এই আশঙ্কাতেই বাজারে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়। সেনসেক্স দিনের শেষে ৭৭ পয়েন্ট পড়ে ছুঁয়েছে ১৬,২১৫.৮৪ অঙ্ক। যা গত চার মাসে সবচেয়ে কম।
বাজার থেকে লগ্নি ফিরিয়ে নেওয়ার প্রভাব পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে। ডলারে টাকা ৩৩ পয়সা পড়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে থিতু হয় ৫৩.৯৬ ডলারে। বাজার সূত্রের দাবি, ডলারকেই নিরাপদ মাধ্যম মনে করায় লগ্নিকারীরা ডলারের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইউরোপ থেকে গ্রিসের বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, চিনের অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় এ দিন বিশ্ব জুড়ে শেয়ার বাজারেও ছিল মন্দা। যা ডলারের উত্থানে সাহায্য করেছে।
পাশাপাশি, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ১০.৪৯ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। এর মধ্যে শুধু শাক-সব্জির দামই বেড়েচে প্রায় ৬১ শতাংশ। ডাল ১১ শতাংশ, দুধ ১৫.৫ শতাংশ, ডিম-মাছ-মাংস ১৭.৫ শতাংশ করে। পাইকারি সূচকের ভিত্তিতে মূল্যবৃদ্ধি হিসার করার ক্ষেত্রে খাদ্য সামগ্রীর গুরুত্ব ১৪.৩ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের দামকে বাগে আনতে কৃষি বিপণন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাওয়াই বাতলেছেন তিনি। প্রণববাবু এ জন্য আরও বেশি হিমঘর গড়া সমেত কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেছেন। উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজনও। তাঁর কথায়, “এটা ভাল লক্ষণ নয়। মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান অত্যন্ত অস্বস্তিজনক। এর ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষে সুদ কমানোর ব্যবস্তা করা আরও কঠিন হল।”
প্রসঙ্গত, মার্চে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮৯ শতাংশ। তবে গত একই সময়ে তা ছিল অনেকটাই বেশি, ৯.৭৪ শতাংশ। অন্য দিকে শিল্পোৎপাদনও মার্চে সরাসরি কমেছে ৩.৫ শতাংশ, আর্থিক বৃদ্ধির হার গত ২০১১-’১২ অর্থবর্ষে নেমে এসেছে ৬.৯ শতাংশে। ফলে অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। আর্থিক সংস্কারই কিছুটা হলেও অর্থনীতির হাল ফেরাতে পারবে বলে এই পরিপ্রেক্ষিতে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.