মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখল রাজ্যের ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কমিটি’র এক প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন চিকিৎসক শৈবাল মৈত্র। শনিবার সকালে দলটি মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখার পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কী কী পরিকাঠামো দ্রুত গড়ে তোলা জরুরি, সেই সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। জানা গিয়েছে, কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট দেবে প্রতিনিধি দল। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবে স্বাস্থ্য দফতর। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শুদ্ধধন বটব্যাল বলেন, “পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতেই মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কমিটির প্রতিনিধি দল এখানে এসেছিল।”
|
জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হলেও এখনও এখানে প্রয়োজনীয় পরিষেবা মেলে না বলে অভিযোগ। বেশ কিছু বিভাগও নেই। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে কলকাতার হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। ‘রেফার’ কমাতে নির্দেশ এসেছিল। কিন্তু তা খাতায়-কলমেই রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে মাসে গড়ে ২৬০ জন রোগীকে কলকাতায় ‘রেফার’ করা হয়। রয়েছে স্থান সংকুলানের সমস্যাও। মেডিক্যালে এখন শয্যা ৫৬১টি। আর রোগী ভর্তি থাকেন গড়ে ৭৫০ জন। হাসপাতালে নতুন ভবন গড়ে উঠেছে। সেখানে মেল ও ফিমেল মেডিক্যাল ওয়ার্ড স্থানান্তরিত হয়েছে। আরও কয়েকটি ওয়ার্ড স্থানান্তরের পরিকল্পনা আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কর্মী সমস্যার কথা শনিবার প্রতিনিধি দলকে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লেবার রুম, নতুন ভবনে লিফটের সমস্যার কথাও জানানো হয়। দুপুরে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখে প্রতিনিধি দল। ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি হয়ে আসা, কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যালের সুপার পার্থপ্রতিম প্রধান। সদ্যোজাত শিশুদের জন্য সিক-নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ) তৈরির কাজ চলছে। এখন এখানে নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট রয়েছে। সেখানে অন্তত ৬ জন শিশু ভর্তি থাকে, যাঁদের অবস্থা তুলনায় খারাপ। এসএনসিইউ চালু হলে আরও অন্তত ১২ জন শিশুকে ‘বিশেষ’ দেখভালে রাখা যাবে। নতুন এই ইউনিটে ২৪ ঘন্টা পরিষেবা মিলবে। এখানে এমন ১৩টি শয্যা থাকবে, যেখানে অপেক্ষাকৃত কম ‘সঙ্কটজনক’ শিশুদের চিকিৎসা হবে। এই ইউনিট তৈরির কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিনিধি দল। ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কমিটি’র এই পরিদর্শনের পর মেদিনীপুর মেডিক্যালের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে অর্থ বরাদ্দ করা হবে বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। |