ছানা ও পনির তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে কয়েকটি মিউরেটিক অ্যাসিডের বোতল বাজেয়াপ্ত করেন বহরমপুর মহকুমাশাসক। বেলডাঙা-২ ব্লকের কামনগর পঞ্চায়েতের তারানগরের একটি কারখানায় রবিবার সকালে হানা দিয়ে ছানা ও পনির নমুনাও সংগ্রহ করেন তিনি। মহকুমাশাসক অধীর বিশ্বাস বলেন, “জেলার বিভিন্ন গ্রামে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাথরুম পরিষ্কার করার মিউরেটিক অ্যাসিড ব্যবহার করে নিয়মিত ছানা ও পনির তৈরি করা হচ্ছে। সাইট্রিক অ্যাসিডের সাহায্যেই দুধ থেকে ছানা বা পনির তৈরি করা নিয়ম। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে এ দিন তারানগর গ্রামের এক ছানা ব্যবসায়ীর কারখানায় হানা দিই। সেখানে ছানা ও পনির উৎপাদনে মিউরেটিক অ্যাসিড মেশানো হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “অ্যাসিডের বোতল বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ছানা-পনির এবং দুধের সঙ্গে যে জল মিশিয়ে ছানা তৈরি হচ্ছে, সেই জলের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই সমস্ত নমুনা সরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসার পরেই কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” |
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তারানগরের কারখানায় এ দিন হানা দেন মহকুমাশাসক। কারখানায় দুধ থেকে ছানা পনির তৈরির কাজ চলছিল। প্রতি দিন দেড় থেকে দুই কুইন্ট্যাল ছানা ও পনির তৈরি হয় সেখানে। টোটন ঘোষ জানালেন, শিলিগুড়ির বাজার ছাড়াও বিভিন্ন হোটেলে ওই ছানা-পনির সরবরাহ করেন তিনি। তবে ছানা-পনিরের পরিমাণ বাড়াতে কারখানায় ওই অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।
তবে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অ্যাসিড ব্যবহারে শরীরে কোনও প্রভাব পড়বে কী না ও তার ক্ষতিকারক দিকগুলো জানতেই ওই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে মহকুমাশাসক জানান। এ দিন মহকুমাশাসকের সঙ্গে অভিযানে গিয়েছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ফুড সেফটি অফিসার অলোক মল্লিক, বেলডাঙা-২ বিডিও অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং শক্তিপুর বিট হাউসের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মৃণাল সিংহ। মৃণালবাবু বলেন, “কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা ওই অ্যাসিডের বোতল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছানার জলের সঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে কৃত্রিম দুধ তৈরি করে জেলার বিভিন্ন সমিতিতে তা সরবরাহ হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না হওয়ায় ওই বেআইনি ভাবে যাঁরা পনির তৈরি করছেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। |