|
|
|
|
|
|
|
ভারতীয় রাষ্ট্রপতির ভূমিকা আনুষ্ঠানিক হলেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ |
|
আমরা প্রেসিডেন্ট শব্দটির বাংলা করেছি ‘রাষ্ট্রপতি’। ‘পতি’ পুংলিঙ্গ, এই সমস্যাটুকু বাদ দিলে প্রতিশব্দটি একেবারে যথোপযুক্ত। বস্তুত, খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই শব্দের মধ্যেই নিহিত আছে প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক অবস্থান তথা গুরুত্ব। রাষ্ট্র মানে স্টেট। পতি মানে, এ ক্ষেত্রে, প্রধান, অর্থাৎ ‘হেড’। অতএব রাষ্ট্রপতি কথাটার মানে দাঁড়ায় ‘হেড অব স্টেট’। এখানেই তাৎপর্যের উৎস।
আমরা সচরাচর স্টেট বা রাষ্ট্র বলতে সরকার বুঝি। সেটা ঠিক নয়। রাষ্ট্র একটা স্থায়ী সত্তা, সরকার সেই সত্তাটাকে পরিচালনা করে। এক সরকার যায়, আর এক সরকার আসে, কিন্তু রাষ্ট্র থাকে, থেকে যায়। আর সেই কারণেই রাষ্ট্রের এক জন প্রধান থাকতে হয়, যাঁর স্থায়িত্ব সরকারের ওপর নির্ভর করে না। আমাদের দেশে রাষ্ট্রপতি এই ভূমিকাটি পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী সরকারের প্রধান, তিনি এবং তাঁর মন্ত্রিসভা সরকার চালান, শাসনক্ষমতা তাঁরই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ভারত নামক রাষ্ট্রটির আনুষ্ঠানিক প্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি। যখন রাষ্ট্রের কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়, সে সরকারি অফিসের চাকরিই হোক আর অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধই হোক, আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি। সিদ্ধান্ত আসলে তাঁর নয়, তাঁর ভূমিকাটি আনুষ্ঠানিকমাত্র। কিন্তু আনুষ্ঠানিক মানে গুরুত্বহীন নয়।
ব্রিটেনের মতো দেশে রাষ্ট্রপ্রধানের এই ভূমিকাটি পালন করেন রানি বা রাজা। তাঁর পদটিও আনুষ্ঠানিক, প্রকৃত শাসনক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারের হাতে। রাজা বা রানির পদটি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যায়, ভারতের মতো দেশে রাষ্ট্রপ্রধানও (পরোক্ষ ভাবে) নাগরিকদের দ্বারা নির্বাচিত হন। রাজতন্ত্রের সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের এটাই তফাত। |
|
• এন সি টি সি। পুরো কথাটা হল ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার। ঠিক এই নামেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাস-হানার পরে ২০০৩ সালের ১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তৈরি করেন একটি টেররিজম থ্রেট ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (টি টি আই সি)। পরের বছর তারই রূপান্তর ঘটে এন সি টি সি’তে। সারা দেশে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে প্রতিরোধের জন্য প্রধানত গোয়েন্দাদের মাধ্যমে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে সন্ত্রাস-হানার পরে অনেকাংশে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির ধাঁচেই ভারতে একটি এন সি টি সি নির্মাণের উদ্যোগ শুরু হয়, প্রধানত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের নেতৃত্বে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ ও সেই তথ্যের সদ্ব্যবহার করে তাদের চক্রান্ত প্রতিরোধ করা যে জরুরি, সে বিষয়ে কারও সংশয় নেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের অভিযোগ, প্রস্তাবিত এন সি টি সি’র মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের এক্তিয়ার খর্ব করবে, রাজ্য প্রশাসনের তোয়াক্কা না করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় হবে। এই আপত্তির ফলে গোটা উদ্যোগটাই আপাতত বিশ বাঁও জলে।
• হিলারি ক্লিন্টন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেক্রেটারি অব স্টেট’। অর্থাৎ বিদেশ সচিব? শব্দের দিক থেকে তা-ই, কিন্তু আসলে তাঁর ভূমিকা বিদেশমন্ত্রীর। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘ক্যাবিনেট’ বা মন্ত্রিসভায় যাঁরা বিভিন্ন দফতরের দায়িত্বে থাকেন, তাঁরা প্রায় সবাই সেক্রেটারি অভিধায় অভিহিত। যেমন অর্থ দফতর চালান সেক্রেটারি অব দ্য ট্রেজারি, প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকেন সেক্রেটারি অব ডিফেন্স। প্রেসিডেন্টই তাঁদের নিয়োগ করেন, তার পর অবশ্য সেই নিয়োগে মার্কিন সেনেটের অনুমোদন দরকার হয়। তাঁরা সবাই প্রেসিডেন্টকে সরকার চালাতে সাহায্য করেন, ভারতে যেমন বিভিন্ন মন্ত্রী সাহায্য করেন প্রধানমন্ত্রীকে অথবা, রাজ্য স্তরে, মুখ্যমন্ত্রীকে। আমাদের দেশে সচিবরা হলেন সরকারি অফিসার, তাঁরা বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের সাহায্য করেন। |
|
সচিনরেখা |
সংবিধানের ৮০ ধারা অনুযায়ী শিক্ষা-শিল্প-সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টদের রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য করার বিধি রয়েছে। সর্বাধিক বারো জনকে মনোনীত করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিধি অনুসারেই রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হচ্ছেন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর ও অভিনেত্রী রেখা গণেশন।
|
রাইস্যাট-১ |
মহাকাশবিজ্ঞানে ফের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ভারতের। বছরের যে কোনও সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে সক্ষম উপগ্রহ রাইস্যাট-১-এর সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র (ইসরো)-র তৈরি এই উপগ্রহ দিন-রাত, এমনকী মেঘলা আবহাওয়াতেও ছবি তুলতে পারবে।
|
‘দ্য স্ক্রিম’ |
এত দিন স্প্যানিশ চিত্রকর পাবলো পিকাসোর আঁকা ‘ন্যুড, গ্রিন লিভস্ অ্যান্ড বাস্ট’ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ছবি। ২০১০ সালে ক্রিস্টির নিলামে সেটি বিক্রি হয় সাড়ে দশ কোটি ডলারে। এ বার সেই রেকর্ড ভেঙে দিল নরওয়ের এক্সপ্রেশনিস্ট ধারার শিল্পী ম্যুন্খ-এর ১৮৯৫ সালে আঁকা ছবি ‘দ্য স্ক্রিম’। ছবিটি বিক্রি হয় প্রায় বারো কোটি ডলারে।
|
ফ্রাঁসোয়াওলাঁদ |
ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সোশালিস্ট পার্টির নেতা ফ্রঁসোয়া ওলাঁদ। |
|
|
|
|
|