কেরিয়ার গড়তে সূর্যোদয়ের দেশে
বেশ কয়েক বছর হল জাপান আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। এই সূত্রে বিভিন্ন স্তরের পড়াশোনার ক্ষেত্রে নানা ধরনের বৃত্তিও দিচ্ছে সেখানকার সরকার। সম্প্রতি ভারতের পূর্বাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য জাপান সরকার ২০১৩ সালের জন্য স্কলারশিপের (মেক্সট) কথা ঘোষণা করেছে। যে সব ছাত্রছাত্রী সামনের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে জাপানের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে যাবে তারা পাবে এই বৃত্তি।
মোট তিনটি ক্যাটেগরিতে এই বৃত্তি পাওয়া যাবে। ১) স্নাতক স্তরে সাধারণ শাখার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়ার সময় এই বৃত্তি পাওয়া যাবে। বিষয়গুলি হল ক) সোশাল সায়েন্সেস এবং হিউম্যানিটিজ। এর দুটি ভাগ রয়েছে: এ আর বি। এ-র মধ্যে রয়েছে ল’জ, পলিটিক্স, পেডাগগি সোশিয়োলজি, লিটারেচার, হিস্ট্রি আর জাপানিজ ল্যাঙ্গোয়েজ। বি-তে রয়েছে ইকনমিক্স আর বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
খ) ন্যাচরাল সায়েন্সেস এরও তিনটি ভাগ রয়েছে। এ, বি এবং সি। এ-তে পড়ে সায়েন্স, ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক স্টাডিজ, মেকানিক্যাল স্টাডিজ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার, কেমিক্যাল স্টাডিজ ও বায়োটেকনলজি। বি-তে রয়েছে এগ্রিকালচারাল স্টাডিজ, হাইজিনিক স্টাডিজ নার্সিং এবং বায়োলজি। মেডিসিন আর ডেন্টিস্ট্রি পড়ছে সি-এর মধ্যে। এমনিতে এই কোর্সগুলি চার বছরের হলেও মেডিক্যাল ডিগ্রি কোর্সটি কিন্তু ছ’বছরের।
২) কলেজ অব টেকনলজিগুলিতে পড়ার ক্ষেত্রে দেওয়া হবে এই বৃত্তি। পাঠ্য বিষয়গুলি হল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন, কমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেটিরিয়ালস্ ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার অ্যান্ড সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিটাইম ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। অধিকাংশ কোর্সের মেয়াদ তিন বছরের। তবে মেরিটাইম ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে সময় লাগে সাড়ে চার বছর।
আর ৩) যারা সেনশু গাকো অর্থাৎ স্পেশালাইজড ট্রেনিং কলেজে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক তারা পড়তে পারে টেকনলজি, পার্সোনাল কেয়ার এবং নিউট্রিশন, এডুকেশন এবং ওয়েলফেয়ার, বিজনেস, ফ্যাশন এবং হোম ইকনমিক্স, কালচার এবং জেনারেল এডুকেশন -এর মতো নানা বিষয়ে। সাধারণত এই সব কোর্সগুলির মেয়াদ দু’বছর। এ ক্ষেত্রেও মেক্সট স্কলারশিপ পাওয়া যাবে।
সব ক’টি কোর্সের করার ক্ষেত্রে বয়স থাকতে হবে ১৭-২১ বছর। যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় হয় পাশ করেছে অথবা যারা এ বছর পরীক্ষা দিয়েছে তারা আবেদন করতে পারে। বোর্ডের পরীক্ষায় কম পক্ষে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। সব ক’টি কোর্সই জাপানি ভাষায় পড়ানো হয়। এর জন্য কোর্সের নির্ধারিত সময়সীমার অতিরিক্ত ১ বছর (অর্থাৎ প্রথম বছর) জাপানি ভাষা শিখতে লাগে। খরচ অবশ্য স্কলারশিপের মধ্যেই ধরা থাকে। প্রার্থীরা তিনটি ক্যাটেগরিতেই আবেদন করতে পারে।
এ বছরের স্কলারশিপের আবেদনপত্র ডাউনলোড করা যাবে http://www.studyjapan.go.jp/en/toj/toj0307e.html#1 থেকে। জুলাই মাসে লিখিত পরীক্ষা আর অগস্টে ইন্টারভিউ হওয়ার কথা। স্নাতক স্তরে পড়ার স্কলারশিপের জন্য পরীক্ষা হবে ২১ জুলাই। সায়েন্সের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে অঙ্ক, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং ইংরেজির ওপর। হিউম্যানিটিজ-এর ছাত্রদের পরীক্ষা দিতে হবে ইংরেজি এবং অঙ্কে। কলেজ অব টেকনলজির বৃত্তির জন্য পরীক্ষা হবে ২২ জুলাই। বিষয় অঙ্ক ও ফিজিক্স কিংবা কেমিস্ট্রি এবং ইংরেজি। আর স্পেশালাইজড ট্রেনিং কলেজের স্কলারশিপের পরীক্ষাও হবে ২২ জুলাই। এ ক্ষেত্রে বিষয় থাকবে অঙ্ক, ইংরেজি।
ঠিকানা: কনসুলেট জেনারেল অব জাপান; ৫৫, এম এন সেন লেন, টালিগঞ্জ, কলকাতা-৭০০০৪০। ফোন: ২৪২১-১৯৭০। আবেদনপত্র পাঠানোর সময়সীমা: ২২ জুন, ২০১২।
• মোট তিনটি ক্যাটেগরিতে মেক্সট বৃত্তি পাওয়া যাবে।
• যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে বোর্ডের পরীক্ষায় কম পক্ষে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
• কোর্সের প্রথম বছর শিক্ষার্থীদের জাপানি ভাষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
• বৃত্তির জন্য আবেদনপত্র পাঠানোর সময়সীমা ২২ জুন, ২০১২।
টোয়েফল, জি আর ই, জি ম্যাট, আই ই এল টি এস পরীক্ষাগুলি সম্পর্কে তথ্য কোথায় পাব?
সুমন বৈদ্য, নৈহাটি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার মতো দেশে পড়তে যেতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়। এর প্রধান দুটি পরীক্ষা হল আই ই এল টি এস যা নেয় ব্রিটিশ কাউন্সিল আর টোয়েফল, যার আয়োজন করে মার্কিন সংস্থা ই টি এস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর তথা উচ্চশিক্ষা করার ক্ষেত্রে জি আর ই পরীক্ষা দিতে হয়। দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান সহ বিদেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম পড়ার জন্য জি ম্যাট পরীক্ষা দিতে হয়। টোয়েফল এবং জি আর ই সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেতে দেখতে হবে ওয়েবসাইট http://www.ets.org/। জি ম্যাট সম্পকে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে http://www.mba.com/the-gmat.aspx ওয়েবসাইট থেকে। আর আই ই এল টি এস-এর বিষয়ে খবর নিতে পারো ব্রিটিশ কাউন্সিলে (ফোন: ২২৮২-৫৩৭০)।

স্ট্যাটিসটিক্স-এ নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ছি। বিদেশে এ বিষয়ে মাস্টার্স পড়তে চাই। কোন দেশে এই নিয়ে পড়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি?
অলোক দাস, বজ বজ
আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক। তাই, স্ট্যাটিসটিক্সে মাস্টার্স পড়ার সুযোগ অন্য দেশের তুলনায় বেশি। যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয় নিয়ে পড়া যেতে পারে, তাদের কয়েকটির নাম দেওয়া হল ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি-তে (http://state.fsu.edu/) পাঁচ বছরের কম্বাইন বি এস/এম এস ডিগ্রি প্রোগ্রাম পড়ার সুবিধা রয়েছে। স্ট্যাটিসটিক্সে স্নাতক ডিগ্রি ও অ্যাপ্লায়েড স্ট্যাটিসটিক্সে মাস্টার্স পড়া যেতে পারে। কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি (http://www.state.colostate.edu/)। এখানে অন ক্যাম্পাস ও ডিস্ট্যান্স লার্নিং-এর মাধ্যমে স্ট্যাটিসটিক্সে মাস্টার্স পড়ার সুবিধা রয়েছে। অন ক্যাম্পাস পিএইচ ডি-ও করা যেতে পারে। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি-তে (http://www.gwu.edu/ state/) স্ট্যাটিস্টিক্সে বি এস, এম এস, পিএইচ ডি পড়ার সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব স্ট্যাটিসটিক্স ও স্কুল অব পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড সার্ভিসেস-এর যৌথ উদ্যোগে ওখানে বায়োস্ট্যাটিসটিক্স এবং এপিডেমিওলজি-তে মাস্টার্স এবং পিএইচ ডি পড়া যাবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.