বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় নাম করতে
ত্রিকা, সংবাদপত্র থেকে শুরু করে টেলিভিশন, রাস্তার হোর্ডিং আমাদের নজরে পড়ে কত রকমের বিজ্ঞাপন। মেয়েদের প্রসাধন থেকে মোবাইল, গাড়ি, বাড়ি যে কোনও কিছুই হতে পারে এই বিজ্ঞাপনের সাবজেক্ট। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই পণ্যগুলি আমাদের সামনে এমন ভাবে তুলে ধরা হয় যে আমরা কোনও না কোনও ভাবে সেটার প্রতি আকৃষ্ট হই। কারণ বিজ্ঞাপনই হল গ্রাহক এবং পণ্যের মধ্যে যোগাযোগের প্রাথমিক মাধ্যম। আর যত দিন যাচ্ছে তত আরও বেশি করে গ্রাহক টানার উদ্দেশে প্রতিদিন উদ্ভাবন করতে হচ্ছে নতুন নতুন ধারণা। আর তাই অ্যাডভার্টাইজিং দিন দিন একটি আকর্ষণীয় কেরিয়ার হিসেবে উঠে এসেছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভার্টাইজিং-এ (http://www.niaindia.org/) এক বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন অ্যাডভার্টাইজিং ম্যানেজমেন্ট পড়ানো হয়। জেভিয়ার ইনস্টিটিউট অব কমিউনিকেশনস (www.xaviercomm.org)-এ অ্যাডভার্টাইজিং ও মার্কেটিং-এ ডিপ্লোমা কোর্স করতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশন (www.iimc.nic.in)-এ অ্যাডভার্টাইজিং অ্যান্ড মার্কেটিং-এর ওপর রয়েছে এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন, ব্রডকাস্ট সিস্টেমস মেনটেনেন্স, মাস কমিউনিকেশনস-এ স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স করা যায়।
• যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হয়ে এই বিষয়টি পড়া যায়।
• অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি হতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়।
• সার্টিফিকেট থেকে ডিপ্লোমা এমনকী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্সও রয়েছে এই বিষয়ে।
• কাজের সুযোগ রয়েছে বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন, মার্কেট রিসার্চ-এর মতো হরেক সংস্থায়।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ভবিষ্যতে ফার্মাসি নিয়ে পড়তে চাই। কী ধরনের কোর্স করা যায় এই বিষয়ে? কোথায় পড়া যায়? এর পর স্নাতকোত্তর কোথায় করতে পারি?
নাজিম শরিফ খান, এগরা

পশ্চিমবঙ্গে ফার্মাসি-তে ডিপ্লোমা এবং ডিগ্রি দু’ধরনের পড়ার ব্যবস্থা আছে। জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া এবং কল্যাণীতে স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টির অধীনে তিনটি ইনস্টিটিউট আছে। এ ছাড়া, কোচবিহার, শিলিগুড়ি উইমেন পলিটেকনিক, চন্দননগর উইমেন পলিটেক, সিউড়ি পলিটেকনিক, কনটাই পলিটেকনিক এবং জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ পলিটেকনিক (কলকাতা) ফার্মাসিতে ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পলিটেকনিক জয়েন্ট দিয়ে এই কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। ডিপ্লোমা স্তরে ভাল ফল করলে ল্যাটারাল এন্ট্রির মাধ্যমে ডিগ্রি কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হওয়া যায়। ডিগ্রি কোর্স করার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির পর জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিতে হয়। এই রাজ্যে ফার্মাসিতে সরকারি স্তরে ডিগ্রি কোর্স করানো হয় দুই জায়গায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং জলপাইগুড়ি ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসি-তে। এ ছাড়া, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজি-র অধীনে এন এস এইচ এম বিজনেস স্কুল, গুরু নানক ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনলজি, দুর্গাপুরের ড. বি সি রায় কলেজ অব ফার্মাসি, চাকদার নেতাজি সুভাষ ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনলজি ইত্যাদিতে বি ফার্মা পড়ানো হয়। মাস্টার্স ডিগ্রি ইন ফার্মাসি বা এম ফার্মা কোর্স সরকারি স্তরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে করানো হয়। বি ফার্ম করা থাকলে জি প্যাট অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসি অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিয়ে যাদবপুরের এম ফার্ম কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। এ ছাড়া, বি ফার্মের নম্বরের ভিত্তিতেও ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিতেও মাস্টার্স ডিগ্রি করানো হয়। বি ফার্মার পর অ্যাডমিশন টেস্ট দিয়ে এই কোর্সে ভর্তি হতে হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর শাখা আছে কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি-তে। এখানে ২ বছরের এম এস (ফার্মাসি) প্রোগ্রাম আছে। বি ফার্মা করা থাকলে জি প্যাট দিয়ে মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি, ন্যাচরাল প্রোডাক্টস ও ফার্মাকো ইনফরম্যাটিক্স পড়ার সুযোগ আছে। ডব্লিউ বি ইউ টি-র অধীনে এম ফার্মা করানো হয় এনএসএইচএম কলেজ অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, বি সি রায় কলেজ অব ফার্মাসি, গুপ্তা কলেজ অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স ইত্যাদিতে। এখানে পড়ার জন্য ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ভর্তির পরীক্ষা দিতে হয়।

হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট নিয়ে পড়তে চাই। উচ্চ মাধ্যমিকের পর এ বিষয় নিয়ে কোথাও পড়া যাবে কি?
সংহিতা ব্যানার্জি, বেহালা

হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট-এর একটি অংশ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট। যারা ম্যানেজমেন্টের ছাত্রছাত্রী, তাদের এটি পড়তে হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাস্টার ইন হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড অর্গানাইজেশন ম্যানেজমেন্ট’ নামের সেলফ ফিনান্স কোর্সে এটি পড়ানো হয়। তা ছাড়া, মাস্টার ইন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্সে হিউম্যান রিসোর্স স্পেশালাইজেশন নিলেও এটি পড়া যায়। তা ছাড়া, এম কম কোর্সে অর্গানাইজেশন বিহেভিয়ার অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের একটি অংশ হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট পড়ানো হয়। আলাদা ভাবে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট কোথাও পড়ানো হয় না।
ফোকাস


কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
ফিজিক্সে স্নাতক। ভবিষ্যতে ফিজিক্সে উচ্চশিক্ষার সুযোগ কেমন? ফিজিক্স ছাড়াও অন্য কোনও বিষয়ে উচ্চশিক্ষা করা যাবে?
পবিত্র মালাকার, হুগলি

বি এসসি পড়ার পর পিওর ফিজিক্সে এম এসসি করা যায়। পদার্থবিজ্ঞানের একাধিক শাখার পাশাপাশি জেনেটিক্স এবং অ্যাটমোসফেরিক সায়েন্সেও মাস্টার ডিগ্রি করা যায়। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতায় ফিজিক্সে এম এসসি কোর্সের বৈশিষ্ট্য স্পেশালাইজেশন হিসেবে আছে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বি এসসি-র পর ইনস্ট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি টেক পড়া যায়। তা ছাড়া, ইনস্ট্রুমেন্টেশন সায়েন্সে এম এসসি পড়া যায়। এম এসসি (ফিজিক্স) হলে এনার্জি স্টাডিজে এম টেক পড়া যায় এখানে। ফিজিক্সে এম এসসি করে, ‘গেট’ পরীক্ষা দিয়ে আই আই টি-গুলি সহ বেশ কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে এম টেক পড়া যায় মূলত মেটালার্জি, মেটেরিয়াল সায়েন্স ইত্যাদি বিষয়ে। জিয়োফিজিক্স পড়া যায় ধানবাদ স্কুল অব মাইন্স-এ। পড়া যায় এম সি এ। ওশনোগ্রাফি-তে এম ফিল করা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:

হোম পেজ, প্রস্তুতি,


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.