বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ কলেজছাত্রী, অপহরণের অভিযোগ
রীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হলেন এক কলেজছাত্রী। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার ওই ঘটনার পর থেকে মুক্তিপণ চেয়ে দু’বার ফোন পেয়েছেন তাঁরা। ওই রাতেই ঘোলা থানায় বিষয়টি
করিশ্মা জয়সোয়াল
জানানো হয়।
অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজ করিশ্মা জয়সোয়াল ব্যারাকপুরের রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের বি কম তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাড়ি ঘোলা থানার নবপল্লিতে। শুক্রবার বিকেলে নৈহাটির ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিলেন ওই তরুণী। বাড়ির লোকেরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার পরেও করিশ্মা বাড়ি ফেরেননি। মোবাইলও বেজে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পরে ওই নম্বর থেকে এক অচেনা ব্যক্তি করিশ্মার মা, প্রতিমা জয়সোয়ালকে ফোন করে মেয়ের অপহৃত হওয়ার কথা জানায়। এক কোটি টাকা মুক্তিপণও চায়। করিশ্মার বাবা রাজকুমার জয়সোয়ালের পরিবহণের ব্যবসা রয়েছে।
ওই ছাত্রীর অভিভাবকেরা জানান, রাতেই করিশ্মার বন্ধুদের ফোন করা হয়। তাঁরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যারাকপুর স্টেশনের কাছে ফুচকা খাওয়ার সময়ে করিশ্মাকে কয়েক জন তুলে নিয়ে গিয়েছে। শনিবার ঘোলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন রাজকুমারবাবুরা। করিশ্মার বন্ধুদের কাছে শোনা ব্যারাকপুর স্টেশনের বিষয়টির প্রেক্ষিতে শনিবার টিটাগড় থানায় একটি লিখিত অভিযোগও জমা দেন তাঁরা।
করিশ্মার বাড়ির লোকেরা জানান, শনিবার ফের ফোন করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ এক কোটি থেকে কমিয়ে আট লক্ষ টাকায় দাঁড়ায় বলে তাঁদের দাবি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার পিছনে বিপিন নামে করিশ্মার এক সহপাঠীর কথা জানা গিয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু ‘ফাঁক’ও নজরে এসেছে তদন্তকারীদের। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে ওই ছাত্রী ব্যারাকপুরে ফুচকা খেতে নামলেন কেন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ব্যারাকপুর স্টেশন এলাকায় ‘অপহৃত’ হলেও বন্ধুরা তা করিশ্মার বাড়িতে জানালেন না কেন, সে প্রশ্নও উঠেছে। পাশাপাশি, এক লাফে মুক্তিপণ কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও অবাক করেছে তদন্তকারীদের।
পরিবার সূত্রের খবর, করিশ্মার একটি ডায়েরি থেকে বিপিনের ফোন নম্বর মেলে। কিন্তু সেটিতে ফোন করলেও কেউ ধরেননি। পরে বিপিনই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। করিশ্মার অভিভাবকদের বিপিন জানান, তাঁর আগের মোবাইলটি চুরি গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, চুরি যাওয়া মোবাইলে কারা ফোন করেছিলেন, তা বিপিন কী ভাবে জানলেন?
ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “ঘটনাটি অপহরণ কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, রবিবার বিশ্বজিৎবাবু ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে পাঠালেও কেউ আসেননি। অপহরণকারীদের মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেটি হালিশহর থেকে করা হয়েছিল। রবিবার পুলিশের একটি দল হালিশহরে যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.