বসিরহাটে শাশুড়ির কান ছিঁড়ে নিলেন বউমা
শাশুড়ির কান ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বউমার বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটে বসিরহাট থানার বেগমপুর পূর্বপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় সফিকুল ইসলাম মোল্লা তাঁর মা খাদিজা বিবির কান ছিঁড়ে নেওয়া এবং ঘরে লুঠপাট চালানোর জন্য স্ত্রী কোহিনূর বিবি এবং শ্বশুর-শাশুড়ি-সহ দুই শ্যালক নুর ইসলাম ও নুরুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ছবি: নির্মল বসু।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৪ বছর আগে পেশায় রাজমিস্ত্রি সফিকুলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বেগমপুরেরই দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা কোহিনূরের। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। ওই দম্পতির তিন ছেলেও রয়েছে। দরিদ্র ওই পরিবারটি বিপিএল তালিকাভুক্ত হওয়ায় সম্প্রতি স্থানীয় বিবিপুর-বেগমপুর পঞ্চায়েত থেকে বাড়ি তৈরির জন্য কয়েক হাজার টাকা পায়। পরে আরও কিছু টাকা জোগাড় করে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন সফিকুল। সফিকুলের অভিযোগ, বাড়ি তৈরি জন্য রাখা প্রায় ৩০ হাজার টাকা দিন কয়েক আগে কোহিনূর তার ভাইদের দিয়ে দেয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। বিবাদের জেরে গ্রামে সালিশি সভা বসে। কিন্তু সাত সাত বার সালিশি সভা বসলেও গ্রামের মাতব্বরেরা সফিকুল ও তাঁর স্ত্রী মধ্যে বিবাদ মেটাতে পারেননি।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সফিকুল। সেই সময় বাড়িতে কোহিনূর ও শাশুড়ি খাদিজা বিবির মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। অভিযোগ, সেই সময় কোহিনূর বিবি শাশুড়ির কান থেকে জোর করে সোনার দুল খুলে নিতে যান। তিনি বাধা দিলে তাঁর কান ছিঁড়ে দুল কেড়ে নেন কোহিনূর। শুধু তাই নয়, এর পরে আর শ্বশুরবাড়িতে থাকবেন না বলে ঘর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান কোহিনূর। রক্তাক্ত অবস্থায় খাদিজা বিবিকে প্রতিবেশীরাই ধান্যকুড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।
এ দিকে, কাজ সেরে বাড়িতে ফিরে স্ত্রী ও মায়ের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে মায়ের কান ছিঁড়ে যাওয়ার কথা জানতে পারেন সফিকুল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাটি গ্রামের মাতব্বরদের জানাতে যান। সফিকুলের অভিযোগ, তিনি যখন মাতব্বরদের কাছে গিয়েছিলেন, সেই সুযোগে তাঁর শ্বশুর এবং শ্যালকেরা এসে ঘরের দরজা ভেঙে জিনিসপত্র লুঠ করে নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্য দিকে, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে সফিকুলের শ্বশুর এনতাজ আলি মণ্ডল বলেন, “আমাদের এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। তাই নিয়েই সকলে ব্যস্ত। শুনেছি মেয়েকে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি মিলে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ হয়েছে তা মিথ্যা।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.