|
|
|
|
ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক চওড়া হচ্ছে অবশেষে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
অবশেষে ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কারে উদ্যোগী হল পূর্ত দফতর (সড়ক)। এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পিছিয়ে পড়া এলাকা উন্নয়ন তহবিল’ (ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড) থেকে ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে। ওই টাকায় দাসপুরের উপ-নির্বাচন মিটলেই কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরের দাবি। পূর্ত (সড়ক) দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র অশোক মণ্ডলের বক্তব্য, “দরপত্র ডাকাও হয়ে গিয়েছে। দু’বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা।”
প্রতিদিন স্থানীয় ও দূরপাল্লার মিলিয়ে গড়ে শ’দেড়েক বাস চলাচল করে ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কে। অন্য যানবাহন তো আছেই। রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও খুবই অপরিসর। তার মধ্যেই আবার রাস্তার উপর দোকান, গুমটি থেকে পাকা নির্মাণ-কাজও হয়েছে। সরকারি জায়গা দখল করে হয়েছে গ্যারেজ, ইমারতি সরঞ্জামের দোকান। করাত-কলের বড় বড় কাঠের গুঁড়িও অবাধে পড়ে থাকে রাস্তার উপরেই। বাস খারাপ হলেও গ্যারেজ-কর্মীরা সারাইয়ের কাজ করেন রাস্তায়। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, ঘাটাল থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৩৪ কিলোমিটার। আর চওড়ায় ১৮ ফুট এবং পুরু ২০ মিলিমিটার। নতুন রাস্তাটি হবে চওড়ায় ২৩ ফুট এবং ৭৫ মিলিমিটার পুরু। সরকারি জমি দখল করে থাকা বেআইনি নির্মাণও ভেঙে দেওয়া হবে। রাস্তায় বাজার বসাও বন্ধ করা হবে। দাসপুর থেকে ওই রাস্তায় অন্তত ৭ জায়গায় নিয়মিত বাজার বসে। ফলে যানজট লেগেই থাকে। সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছনো যেমন যায় না, তেমনই ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে।
গত বছর দাসপুরের নিজামপুরে কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এক মাসের বেশি রাস্তার একাংশ ডুবে ছিল। তখন থেকেই রাস্তার হাল আরও খারাপ হয়। স্থানীয় মানুষ এবং পরিবহণ ব্যবসায়ীরা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বার বার পূর্ত-বিভাগে আবেদন-নিবেদন করেছেন। সংস্কার না হলে বাস-মালিকরা বাস বন্ধের হুমকিও দিয়েছিলেন। আন্দোলনের জেরে মাস তিনেক আগে রাস্তাটির খানিক সংস্কার অবশ্য হয়েছিল। এ বার বিআরজিএফের প্রকল্পে রাস্তাটি চওড়া ও পুরু করার জন্য টাকা বরাদ্দ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলেই খুশি। |
|
|
|
|
|