|
|
|
|
‘বুর্জোয়া’ সংবাদমাধ্যম বর্জনের ডাক শুভেন্দুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
সিপিএমের সুরেই ‘বুর্জোয়া’ সংবাদমাধ্যমকে ‘বর্জন’ করার ডাক দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। ‘বুর্জোয়া’ সংবাদমাধ্যম হিসেবে আনন্দবাজার পত্রিকা ও স্টার আনন্দের নাম করেছেন তিনি। রাজ্যপাটে ক্ষমতায় থাকার সময় থেকেই সিপিএমের দলীয় মুখপত্রে আনন্দবাজারকে ‘বুর্জোয়া’ সংবাদপত্র হিসেবে অভিহিত করা হয়। এখনও বহাল রয়েছে সেই ধারা।
তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে সংবাদমাধ্যমকে ‘আক্রমণে’র এই প্রবণতা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে। রাজ্যের সরকারি গ্রন্থাগারগুলিতে কোন কোন সংবাদপত্র থাকবে, তা নিয়ে নতুন সরকারের এক নির্দেশিকা ঘিরে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে আনন্দবাজার-সহ বেশ কয়েকটি প্রথম সারির সংবাদপত্র।
সরকারি এই নির্দেশিকাকে ‘সাধুবাদ’ জানিয়ে শুভেন্দুর বাবা
তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী বলেছিলেন, “সরকারের কথা
যারা ছাপবে, তাদের কাগজই থাকবে।” তারপর ‘বাছাই’ করা কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মহাকরণে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, “স্টার আনন্দ সিপিএমের চ্যানেল, ওটা দেখবেন না!”
এ দিন কার্যত দলনেত্রীর কথার ‘প্রতিধ্বনি’ শোনা যায় তমলুকের তৃণমূল সাংসদের গলায়। রবিবার, তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তি ও আসন্ন পুরভোট উপলক্ষে হলদিয়ার দুর্গাচকে এক সভায় শুভেন্দু সিপিএমের মুখপত্র এবং লক্ষ্মণ শেঠের স্ত্রী তমালিকা পন্ডা শেঠ সম্পাদিত কাগজের নাম করে বলেন, “একটা সময় ছিল যখন হলদিয়ায় ওই কাগজগুলো না নিলে তাড়িয়ে দিত। আমরা সে সব করি না। তবে আমি এটুকু বলব, কিছু কাগজ অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্টার আনন্দ, আনন্দবাজার বুর্জোয়াদের চ্যানেল, কাগজ। দেখবেন না, পড়বেন না।” |
|
|
|
|
|