বধূ অগ্নিদগ্ধ, স্বামী-ভাসুরকে ধরল পুলিশ |
শনিবার রাতে হুগলির ভদ্রেশ্বরে এক গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আল্পনা চৌধুরী নামে ওই বধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আত্মহত্যার চেষ্টায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বামী এবং ভাসুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভদ্রেশ্বরের কৃষ্ণপট্টি দাসপাড়ার ওই বধূ শনিবার রাত ১০টা নাগাদ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার সকালে তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই বধূর বাবা হীরালাল চৌধুরী মুর্শিদাবাদের লালবাগের বাসিন্দা। এ দিন ভদ্রেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। হীরালালবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতেই আল্পনাদেবীর স্বামী বিজয় এবং ভাসুর মনোজ চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের চন্দননগর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই বধূ আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।
|
বাসের চাকা পিষে দিল ওই বাসেরই খালাসিকে। শনিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের গজারমোড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিপ্লব মুর্মু (২৬)। পুরুলিয়ার বোরো থানার বাঘাবাইদ গ্রামে তাঁর বাড়ি। কলকাতাগামী রাতের বাসের খালাসি তিনি। গজারমোড়ে বাস থামিয়ে মেরামতি করতে তিনি বাসের তলায় ঢোকেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক জন। সে সময়ে বালি-ভর্তি একটি লরি এসে বাসটির পিছনে ধাক্কা মারে। বাসের চাকা সামনের দিকে গড়িয়ে বিপ্লবাবুর মাথা থেঁতলে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাসটির মালিক বাঘাবাইদ গ্রামের বাসিন্দা বাসের মালিক কার্তিক হেমব্রম বলেন, “বিপ্লব-সহ দু’জন বাসের নীচে ঢুকেছিল। এ রকম দুর্ঘটনা ঘটবে ভাবা যাচ্ছে না।” |