বিস্মৃতির গর্ভে বিলীন হতে চলেছে প্রখ্যাত চিকিৎসক নীলরতন সরকারের জন্মভিটা। ১৮৬১-এর ১ অক্টোবর অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার নেতড়া গ্রামের যে বাড়িটিতে তিনি জন্মেছিলেন ও বড় হয়েছিলেন, সেই বাড়ি আজ আগাছায় পূর্ণ হয়ে নিশ্চিহ্ন হওয়ার দিন গুনছে। ঘটনাচক্রে সদ্য তাঁর সার্ধশতজন্মবার্ষিকী পার হল। ১৯৬৬-তে এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেন নীলরতন সরকারের ভাই শিশু সাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকার।
নীলরতন সরকার ১৯১৬-তে রাধাগোবিন্দ কর ও সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারীর সঙ্গে একযোগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেলগাছিয়া মেডিক্যাল কলেজ (বর্তমানে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল) স্থাপন করেন। |
অখণ্ড বঙ্গদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি প্রচলনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তিনি সম্মানিত হন। যাদবপুরে যক্ষ্মা হাসপাতাল তৈরির জন্যও তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। অনন্য সামাজিক অবদানের জন্য ব্রিটিশ সরকার নীলরতন সরকারকে নাইট উপাধি দিয়েছিল।
কলকাতায় থাকলেও প্রতি মাসে নিয়ম করে নেতড়ার এই বাড়িটিতে এসে তিনি বিনাপয়সায় মানুষকে চিকিৎসা করতেন। জন্মের সার্ধশতবর্ষে এসে তাঁর জন্মভিটের স্মৃতিটুকু রয়েছে পুরনো ইট আর আগাছাকে জড়িয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসন, প্রত্যেকে বাড়িটির গুরুত্ব উপলব্ধি করে আগাছা মুক্ত করার উদ্যোগ নিলে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের এই স্মৃতিচিহ্ন আরও কিছু দিন বেঁচে থাকতে পারে।
উজ্জ্বল সরকার। বারুইপুর,
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
|
বর্ধমান জেলার কালনা থানার অন্তর্গত অকালপৌষ গ্রামের এক নিঃসন্তান বিধবা (নাম দুর্গেশনন্দিনী বসু, স্বামী প্রয়াত দেবেন্দ্রনাথ বসু) তাঁর যাবতীয় স্থাবর সম্পত্তি (যথা ৬.৬৭ একর কৃষি জমি) বাড়িতে রেজিস্ট্রি অফিসার নিয়ে এসে ইং ১৮. ৭. ১৯৬৫ তারিখে উইল করে রেজিস্ট্রি (নং ১১১) করিয়েছিলেন। উইলে বলা হয়েছে, তাঁর মৃত্যুর পর উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ গ্রহণ করবে এবং তাঁর ও তাঁর স্বামীর নামে অকালপৌষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২টি শয্যার ব্যবস্থা করবে। যেখানে স্থানীয় গরিব মানুষজন বিশেষত প্রসূতিরা উপকৃত হবেন।
শ্রীমতি বসু ইং ৩.৫.১৯৮১ তে মারা যান। উইলে কলকাতাবাসী দুই জনকে এক্সিকিউটার নিয়োগ করেছিলেন। তাঁরাও বর্তমানে প্রয়াত। সেই কারণে শ্রীমতি বসুর রেজিস্ট্রি করা জনহিতকর উইলটি আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।
এমত অবস্থায় স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি একান্ত অনুরোধ, জনজাতি ও তফশিলি অধ্যুষিত গ্রাম অকালপৌষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শ্রীমতি বসু ও তাঁর স্বামীর নামে ২টি শয্যার ব্যবস্থা করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন। সেই সঙ্গে সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থের কোপে পড়ে নিঃসন্তান বিধবার শেষ ইচ্ছা যেন আটকে না যায়, সে দিকে নজর দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই।
নিমাইচাঁদ দত্ত। অকালপৌষ, বর্ধমান।
|
১৪-২০ বছরের যে সব ছেলেরা গাছের ফল, বাগানের সব্জি, জলের পাইপ বা জল তোলার বালতি চুরি করে তাদের খড়গপুরে বলা হয় ‘এপ্রেনটিস চোর’। এই চোরদের জন্য এখানকার মানুষ নাস্তানাবুদ। সকালে উঠে দেখা যায় জলের পাইপ নেই। গাছের ফল ভ্যানিস। সামান্য জিনিস ভেবে কেউ আর থানায় নালিশ জানাতে যান না। ভোর রাতে দলবেঁধে চুরি করতে বেরোয় এই এপ্রেনটিস চোরেরা। চোরেদের অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ, এ কাজকে সমর্থন জানিয়ে এদের সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন না। সঞ্জয় চৌধুরী। ইন্দা, খড়্গপুর
|
হাওড়া জেলার আমতা থানার ধুরখালি ডাকঘরে রেজিস্ট্রি ডাকে চিঠি পাঠানোর স্ট্যাম্প পাওয়া যায় না। পর্যাপ্ত স্ট্যাম্প না থাকায় চাকরি প্রার্থীদের দুই-তিন কিলোমিটার দূরে গিয়ে চিঠি পাঠাতে হয়। পোস্টাল অর্ডার ও আনুষঙ্গিক জিনিসেরও অপ্রতুলতা দেখা যায়। এ ছাড়া এখানে সেভিংসের আপ-টু-ডেট বছরের পর বছর আটকে থাকে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি।
তপনকুমার ভৌমিক।
সিমচক, ধুরখালি। হাওড়া
|