পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাবে বিজেপি। আজ এ কথা জানিয়েছেদন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি নীতীন গডকড়ী। গডকড়ী বলেন, ভিটেহারা হয়ে আসা এই হিন্দুদের নাগরিকত্ব না দেওয়াটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। সংবিধান অনুসারেই বিশ্বের যে-কোনও জায়গা থেকে হিন্দুরা নির্যাতিত হয়ে ভারতে এলে, তাঁদের নাগরিকত্ব প্রদান করতে হয়। একে সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা বলেই দাবি করেন গডকড়ী।
গডকড়ী জানান, এ জন্য দলের মানবাধিকার সেলের প্রধান অবিনাশ রাই খান্নাকে অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফর করে বাস্তব-সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের লিগ্যাল সেল-ও। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রবিশঙ্কর প্রসাদ। এ ছাড়া, সংসদের দুই কক্ষের বিরোধী দলনেতাকেই বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করতে বলা হয়েছে। শিলচরের বিজেপি সাংসদ কবীন্দ্র পুরকায়স্থ এর মধ্যেই লোকসভা সংক্রান্ত এক বেসরকারি বিল জমা দিয়েছেন বলেও গুয়াহাটিতে এসে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়েছেন, দু’দিনের সফরে কাল তিনি এখানে আসেন। |
হেতরাবাড়িতে দলের নবনির্মিত অফিসের (অটলবিহারী বাজপেয়ী ভবন) উদ্বোধন করেন। প্রদেশ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সাংগঠনিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি হিন্দুদের সাংবিধানিক সুরক্ষা নিয়ে সরব হন।
অসমে এই সমস্যা অনেক দিনের। ১৯৬৯ সালের পর যাঁরা পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম চিহ্নিত করে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পরে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য হাজির করানো হচ্ছে। হিন্দু-মুসলমান সবার ক্ষেত্রে এই একই কথা। গডকড়ীর অভিযোগ, এক দিকে কেন্দ্র অন্য দিকে কংগ্রেল নেতৃত্বাধীন অসম সরকার উদ্বাস্তু হয়ে আসা হিন্দুদের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিজেপি সবাপতি গডকড়ীর দাবি, হিন্দুদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দেওয়া অর্থহীন। এখানে হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের কথাও ঠিক নয়। স্থায়ী বাসিন্দা যে-সব মুসলমান, তাঁদের নিয়ে বিজেপির মোটেও বিরূপ মনোভাব নেই। কিন্তু নির্যাতনের শিকার হয়ে তাঁদের কারও আসার কথা নয়। যদিও হিন্দুরা ভিটেমাটি ছেড়ে আসেন ওই কারণেই। সংবিধান মেনেই তাঁদের সুরক্ষা দিতে হবে, বলেন বিজেপি সভাপতি। |