|
|
|
|
বাধা সেই লাল ফিতের ফাঁস |
ভারতে ঢিমেতালে চলা প্রকল্প নিয়ে হতাশ লক্ষ্মী মিত্তল |
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
লাল ফিতের ফাঁসের খুব চেনা সেই ট্র্যাজেডি। যার দৌলতে স্বাধীনতার পর থেকে বহু লগ্নিকেই হারিয়ে যেতে দেখেছে ভারত। আর সেই ফাঁসই তাঁর সংস্থার লগ্নির পথেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তলের।
মিত্তলের ইস্পাত সংস্থা আর্সেলরমিত্তল ভারতে লগ্নির ঝুলি নিয়ে বসে দীর্ঘ দিন। এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে ৩টি কারখানা গড়ার পরিকল্পনা তাদের। অথচ সম্প্রতি শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, “ভারতে বিভিন্ন সমস্যা ভোগাচ্ছে। মনে হয় ৫ থেকে ১০ বছরের আগে ওই সব প্রকল্প দিনের আলো দেখবে না।”
বস্তুত, জমি অধিগ্রহণ ঘিরে বিরোধিতা, পরিবেশ-সহ বিভিন্ন ছাড়পত্র পেতে দেরি ও ভোটের জনমোহিনী রাজনীতির গুঁতোয় পড়ে ঝাড়খণ্ডে ও ওড়িশায় ছ’বছর ধরে থমকে রয়েছে দু’টি প্রকল্প। যেখানে বছরে প্রতিটিতে প্রায় ১.২ কোটি টন উৎপাদন ক্ষমতার কারখানা তৈরি হওয়ার কথা। ৬০ লক্ষ টন ক্ষমতার আর একটি কারখানা গড়তে চুক্তি হয়েছে কর্নাটকে। দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর গুনছে সেটিও। ফলে নিজের ইস্পাত সাম্রাজ্য বাড়িয়ে যিনি আজ পৃথিবীর সেরা কোটিপতিদের সঙ্গে একাসনে বসে, তাঁর এই হতাশাজনক মন্তব্য আসলে ভারতের লাল ফিতের ফাঁসের সেই কঠিন বাস্তবের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পরে অবশ্য প্রকল্প ৫-১০ বছর পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাকে মিত্তল নিজেই কিছুটা অতিরঞ্জিত তকমা দিয়ে সময়টা নামিয়ে এনেছেন অন্তত দু’বছরে। তবে তাতে ৩,০০০ কোটি ডলারের প্রকল্প আটকে থাকার ছবিটা পাল্টে যায় না কোনও ভাবেই।
ভারতে বছরে মোট যে ৩ কোটি টন ইস্পাত তৈরির পরিকল্পনা করেছেন মিত্তল, তা গত বছর তাঁর বিশ্ব জুড়ে উৎপাদনের (৯.১৯ কোটি টন) এক তৃতীয়াংশ। এ দেশে যে কোনও সংস্থার উৎপাদনের দ্বিগুণেরও বেশি। |
|
|
|
|
|