|
|
|
|
নদিয়ায় পর্যটন খাতে কেন্দ্রীয় সরকার দেবে ১৭ কোটি |
আলোর খেলায় ফুটে উঠবে ইতিহাস |
সুস্মিত হালদার • কৃষ্ণনগর |
পর্যটন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ১৭ কোটির অনুদান পাচ্ছে নদিয়া।
প্রাথমিক ভাবে সেই টাকা দিয়েই ঢেলে সাজবে পলাশি ও কৃষ্ণনগরের বাহাদুরপুর। এমনই জানাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
জেলাশাসক অভিনব চন্দ্রা বলেন, “জেলার বেশ কিছু জায়গা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে জায়গাগুলোর। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন দফতরের কাছে একটা প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তা বাবদই ১৭ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।”
নদিয়ার পলাশির প্রসিদ্ধ আমবাগানেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়েছিল বাংলা নবাবের সেনাবাহিনী। শুরু হয়েছিল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়। সারা বছরই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে রয়েছে এখানে। কিন্তু অযত্ন ও দেখভালের অভাবে ম্লান এই ইতিহাস প্রসিদ্ধ পলাশিকে দেখে হতাশ হন পর্যটকেরাও।
এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ করা টাকায় পলাশিকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। এর আগেও অবশ্য সার্কিট টুরিজম ও রিভার টুরিজমের মাধ্যমে পলাশিকে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ খুব বেশি দূর এগোয়নি। এ বারের প্রকল্প নিয়ে অবশ্য আশাবাদী প্রশাসনের কর্তারা।
জেলাশাসক বলেন, “পলাশির পরিকাঠামো উন্নয়নে উৎসাহী কেন্দ্রীয় সরকারও।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাশিতে তৈরি করা হবে উন্নত মানের ফেরিঘাট ও রিসর্ট। এ ছাড়াও পযর্টকদের কথা মাথায় রেখে এলাকায় কিছু সাজানো রিকশার ব্যবস্থাও করা হবে। রিকশার দামে কিছু টাকা ভতুর্কি দেওয়া হবে। রাস্তার মান উন্নয়নের পাশাপাশি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পলাশি ঢোকার মুখে তৈরি করা হবে সুদৃশ্য তোরণ।
এর সঙ্গেই ইন্সপেকশন বাংলোতে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে দেখানো হবে পলাশি যুদ্ধের ইতিহাস।
পলাশির পাশাপাশি বাহাদুরপুর, যেখান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা গিয়েছে, সেখানে তৈরি করা হবে পার্ক। থাকবে সুদৃশ্য স্তম্ভ ও খাবারের স্টল। জেলাশাসক বলেন, “জেলার অন্যান্য প্রকল্পগুলোকেও ধাপে ধাপে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।” |
|
|
|
|
|