ওয়ার্ড নম্বর ৪। যুযুধান দুই প্রার্থীর নাম একই। আবার দু’জনই দূর সম্পর্কে কাকা ও ভাইপো। সিপিএম ও তৃণমূল দুই প্রার্থীর নাম রবীন্দ্রনাথ শর্মা। দু’জনেই এই প্রথম ভোটে লড়ছেন। একই নাম থাকায় প্রচার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে না? তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ (রবি) শর্মার উত্তর, “না না অসুবিধা হবে কেন? আমাকে পাড়ার লোকেরা রবি বলে জানেন। কাকাকে চেনেন খোকন নামে। তা ছাড়া, দু’জনের পেশাগত দিকও আলাদা। আমার পৈতৃক ব্যবসা এবং কাকার নলহাটি বাজারে দোকান আছে।” |
সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ (খোকন) শর্মার কথায়, “আমার ডাক নামেরও উল্লেখ আছে। তা ছাড়া, কাস্তে হাতুড়ি তো প্রতীকে লড়াই করছি। ওয়ার্ডের প্রায় সব ভোটারদের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হয়ে গিয়েছে। অসুবিধা হবে কেন।” তবে দুই রবীন্দ্রনাথ শর্মাকে নিয়ে বাসিন্দাদের ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া গিয়েছে। এক বাসিন্দা দেবাশিস দত্ত বলেন, “সমস্যা তো হবেই। নাম একই থাকায় কে কোন দলের প্রার্থী ভোটযন্ত্রে তা খুঁজতে সময় লাগবে।” আর এক বাসিন্দা পিন্টু খানের কথায়, “সমস্যা একটু হলেও নামের পাশে প্রতীক থাকবে। তাই খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।” তবে এক বধূ পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, “সমস্যা কিসের। এখন কেউ প্রার্থীর নাম দেখে ভোট দেন না। প্রতীক দেখেই ভোট দেন।”
একই নাম নিয়ে যুক্তি পাল্টা যুক্তি থাকলেও বাসিন্দাদের যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য কোনও কোনও জায়গায় দেওয়াল লিখনে সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ শর্মার পাশে যেমন খোকন নামটি উল্লেখ আছে তেমনি ‘তনুশ্রী’ লেখা রয়েছে। কারণ, খোকনবাবুর কাপড়ের দোকানের নাম ‘তনুশ্রী’।
|