ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল বাধল রানিগঞ্জে। শনিবার জেমারি পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত অঞ্চল কমিটির সভাপতি অভয় উপাধ্যায়ের দুই অনুগামীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কমিটিরই সম্পাদক গিরিজা বর্মন, তৃণমূল স্থানীয় যুব অঞ্চল কমিটির সম্পাদক আকাশ চৌধুরী ও তাঁর অনুগামীরা। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে নিমচা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছে। তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) কমিটির কার্যকরী সভাপতি তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। দলীয় স্তরেও বিষয়টির তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহখানেক আগে। জে কে নগর মাইনাস এলাকার তৃণমূল কর্মী ধর্মেন্দ্র রামের ছেলে অমিতের সঙ্গে রেলপাড় এলাকার বাসিন্দা, তৃণমূল নেতা আকাশবাবুর এক আত্মীয়ার ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল। তাতে আকাশবাবুদের মত ছিল না। সপ্তাহখানেক আগে রেলপাড় এলাকায় অমিতকে দেখতে পেয়ে আকাশবাবু ও তাঁর অনুগামীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। শনিবার সন্ধ্যায় মাইনাস এলাকায় আকাশবাবুকে দেখতে পেয়ে অমিত লোকজন নিয়ে তাঁর উপরে হামলা চালান বলে নিমচা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন আকাশবাবু। এর পরেই তাঁরা অভয়বাবুর নিয়ন্ত্রণাধীন তৃণমূল অফিসে ঢুকে ধর্মেন্দ্র রাম ও তৃণমূল কর্মী রাজেশ মাহাতোকে মারধর করে বলে অভিযোগ। দু’পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভয়বাবুর অবশ্য দাবি, “আকাশেরা অবৈধ কয়লা কারবারিদের মদত দিতে চাইছে। আমাদের নীতি, অবৈধ কারবার চলতে দেব না। এর জেরেই ওদের গোষ্ঠী নানা কারণে আমাদের কর্মীদের উপরে আক্রমণ করছে।” দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে গিরিজাবাবু পাল্টা বলেন, “আকাশকে মারধর করেছে ওরা। কারা অবৈধ কয়লা থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করেন, বাসিন্দারা তা জানেন।” |