‘বাঁদর তখন আরশিতে মুখ দেখছে’
চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়
সাতাত্তর নম্বর আশুতোষ মুখার্জী রোড। আমার ছেলেবেলার ঠিকানা। এখানেই যৌথ পরিবারে বড় হওয়া। বাবা ছিলেন হাইকোর্টের ব্যস্ত উকিল। মেজকাকা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলার। বাবা-কাকাদের ছিল আলাদা জগৎ। আর ঠাকুমার জগৎটা ছিল অন্য রকম। ভাল সংস্কৃত জানতেন। পুজোআচ্চা নিয়েই থাকতেন। ঠাকুমার কাছেই মুখে মুখে পুরাণ, ভাগবত, মহাভারত শোনা।
শুধু রবিবারই নয়, মাঝে মাঝেই বাড়িতে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা আসতেন। সে ঘরে আমাদেরও প্রবেশাধিকার ছিল। বাড়িতে গ্রামোফোন রেকর্ড ছিল। সি সি লাহা থেকে প্রতি মাসে নতুন রেকর্ড আসত। মা আর মেজকাকা গান শুনতেন।
খুড়তুতো-জ্যাঠতুতো মিলিয়ে বাড়িতে অনেক ভাই-বোন। বাইরে বেরোবার অনুমতি ছিল না। বাড়িতেই খেলাধুলো। বিরাট ছাদে ফুটবল। টেবিল টেনিসের টেবিলও ছিল। বাড়িতে সব ঘরে এত বই ছিল যে পরিবেশটাই গা-ছমছমে। ভূতের ভয়। এক রবিবার কোথা থেকে একটি বাঁদরের আবির্ভাব হয়েছিল। আরশিতে মুখ দেখছে, দারোয়ানদের ছুটোছুটি। সঙ্গে আমরা। কোনও কোনও রবিবার আমাদের ছোটদের সিনেমা দেখতে নিয়ে যাওয়া হত। গ্লোবে ‘টারজান’, শার্লি টেম্পলের ইংরেজি ছবি। বিজলিতে বাংলা ছবি।
বাড়ির সামনের রাস্তায় ট্রাম চলত। প্রতি ভোরে এক দল মানুষ কীর্তন করতে করতে ট্রামে চড়ে গঙ্গা স্নানে যেতেন। সেই শুনে ঘুম ভাঙত। তার পর শুরু হত রাস্তা ধোয়া। ক্লাস এইটে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত বাড়িতেই পড়াশুনো করতাম।
রবিবারের খাওয়াদাওয়া ছিল জমজমাট। একতলায় বড় দালানে কাঠের পিঁড়িতে বসে খাওয়া হত। বাবা, সেজকাকা, ছোটকাকা নিরামিষ খেতেন। আমাদের জন্য মাংস। ঠাকুররা এত ভাল রাঁধত যে মাঝে মাঝে ওদের ভাতও খেয়ে ফেলতাম। বাড়িতে দুপুরে কেউ এলে না খেয়ে যেতেন না। ঠাকুমার হবিষ্যির ভাগও পেতাম। রাঁধতেনও দারুণ। সরস্বতী পুজোয় ঠাকুমার রান্না খিচুড়ির স্বাদ আজও মনে পড়ে। বিরাট কাঠের উনুনে ঠাকুমা দুধ জ্বাল দিতেন। বাড়িতেই মা-ঠাকুমা আমসত্ত্ব, আচার সব বানাতেন।
ছুটি পড়লেই আমরা মধুপুরের বাড়িতে চলে যেতাম। মধুপুরের জীবনটা ছিল ভারী আনন্দের। রোজই রবিবার। কুয়ো পাড়ে তেল মাখা, নদীর ধারে বেড়ানো। ব্যস্ত মেজকাকাও মধুপুরে এসে আমাদের সঙ্গে খেলাধুলোয় মাততেন। কাকারা এলে অনেকেই দেখা করতে আসতেন। হরেন মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী বঙ্গবালা আসতেন চিনেবাদামের কাটলেট নিয়ে।
তখন স্কুলে পড়ি, যুদ্ধ লেগেছে। ব্ল্যাক আউট চলছে। কলকাতা ফাঁকা হয়ে গেল। আমরা সবাই পাড়ি দিলাম মধুপুরে। সঙ্গে গিয়েছিল রেলের ওয়াগন বোঝাই বাক্স বাক্স বই। মাস দুয়েক পর ফিরে এলাম। তখন কলকাতায় পর পর দু’বার বোমা পড়ল। সেটা ছিল রবিবার। পিসতুতো দাদার বিয়ে ছিল সে দিন। বোমার জন্য বাড়িতে ব্যাফেল ওয়াল তৈরি করা হয়েছিল। সাইরেন বাজিয়ে অল ক্লিয়ার ঘোষণা করলে সেখান থেকে বেরোতাম। যে দিন বোমা পড়ল সে দিন বিকেলে দেখেছিলাম কয়েকটা ট্রাক কতগুলো বডি নিয়ে বেরিয়ে গেল।
রেড রোডে তখন এয়ার বেস তৈরি হয়েছিল। ওখান থেকে ফাইটার প্লেনগুলো উড়ত। এক রবিবার ছোটকাকা আমাদের ফাইটার প্লেন দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল। আসলে আমাদের আবদার, গল্পগুজব, সব কাকাদের সঙ্গে। পরবর্তী কালে ছোটকাকা উমাশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে হিমালয়ের পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর দিনগুলো ছিল দারুণ রোমাঞ্চকর।
আমার প্রিয়

লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বেড়াবার জায়গা: পাহাড় আর জঙ্গল
খাবার: সাদা সন্দেশ
ব্যক্তিত্ব: পিতামহ স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
পোশাক: ধুতি ও গেঞ্জি
বড় হওয়ার পর মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে যেতাম। বিয়াল্লিশ-তেতাল্লিশ সাল। চাল দুষ্প্রাপ্য। চার দিকে শুধু ‘ফ্যান দাও’, ‘ফ্যান দাও’ হাহাকার। মাড়োয়াড়িদের লঙ্গরখানায় খাবার বিলি করা হত। আমরা সেখান থেকে খাবার এনে বিলি করতাম। চাঁদা তুলে চাল কিনেও বিতরণ করা হত। এর পর চুয়াল্লিশ সাল। দেশ জুড়ে অস্থিরতা। পঁয়তাল্লিশের যুদ্ধ আর ছেচল্লিশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কলকাতা বদলে গেল।
জীবনের একটি স্মরণীয় দিন ১৯৪৭-এর ১৪ অগস্ট। সে দিন মাঝরাতে স্বাধীনতা ঘোষিত হল। মেজকাকা মন্ত্রী হলেন। আমরা সেলুন কারে চড়ে গিয়েছিলাম দিল্লিতে। এখনও মনে পড়ে সস্ত্রীক মাউন্টব্যাটেন আর জওহরলাল নেহরু পাশাপাশি দাঁড়িয়েছিলেন। জওহরলালকে তার বছরখানেক আগেও দেখেছিলাম। আমাদের বাড়িতে। অসুস্থ মেজকাকাকে দেখতে এসেছিলেন। সিঁড়ি দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ওপরে উঠেছিলেন।
আরও একটি দিনের ছবি জীবনে ভুলিনি। ১৯৫৩-এর ২৩ জুন। সকাল ছ’টায় ফোন বাজল। পরিষ্কার শোনা যাচ্ছিল না। কথা বলার পর বাবার মুখটা গম্ভীর হয়ে গেল। কাউকে কিছু না বলে সেজকাকাকে নিয়ে চলে গেলেন বিধান রায়ের বাড়ি। ফিরে এসে জানালেন মেজকাকা আর নেই। পর দিন আমাদের বাড়ির সামনের ফাঁকা রাস্তা লোকে লোকারণ্য। ভিড়ের মাঝে দেখলাম মেজকাকা শুয়ে ঘুমোচ্ছেন।
স্কুল জীবন ও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া শেষ করে আইন পড়লাম। তখন রবিবার মানেই সিনিয়রদের বাড়ি যাওয়া। পরে যখন প্র্যাকটিস শুরু করলাম তখনকার রবিবারগুলো বসে থাকতাম মক্কেলদের অপেক্ষায়। ১৯৮৭-তে কলকাতার পাট চুকিয়ে মুম্বই চলে গেলাম। ওখানে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হলাম। বছর দুয়েক পর দু-মাসের জন্য আবার কলকাতা ফিরে আসতে হয়। প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে মা আগুনে পুড়ে গিয়েছিলেন। সেই দিনগুলি কাটত হাসপাতালে মায়ের কাছে। মাস দুয়েক পর মা চলে গেলেন। আবার কাজে ডুবে গেলাম। অবসরের পর পাকাপাকি ভাবে আবার কলকাতার বাসিন্দা হলাম।
এখন ‘আশুতোষ মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট’-এর কাজকর্ম দেখতে হয়। তবে আগের মতো বাজার করাটা ছাড়িনি। আগে হয়তো রবিবার বাগবাজার বা ডায়মন্ডহারবার চলে যেতাম ইলিশের সন্ধানে। এখন বাড়ির কাছেই জগুবাবুর বাজারেই বাজার করি। বড় ভাল লাগে বাজারের লোকজনের সঙ্গে গল্পগুজব করতে।

সাক্ষাৎকার: রুমি গঙ্গোপাধ্যায়
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
অনিল বসুর বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে বিমান বসু মুখ খুলতে চাইছেন না। আমরা জানি, ক’দিন আগেই ‘ঝড়’ বিমানের মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এখন কি তবে ‘বাতাস’ (অনিল) বিমানের মুখ বন্ধ করে দিল!
গৌতম মুখোপাধ্যায়।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলে, ‘ত্রিফলা’ (আমলকী, হরিতকী এবং বয়রা) খুবই উপকারী। শরীর-স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এখন শহরের রাস্তায় বসা ব্যয়বহুল ‘ত্রিফলা’ (মুখ্যমন্ত্রীর নকশা করা বাতিস্তম্ভ) কিন্তু রাজ্য কোষাগারের ভগ্নস্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটাচ্ছে!
দেবব্রত ঘোষ। সল্ট লেক

ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে ৭ নম্বরে নেমে বিলকুল হারা ম্যাচকে প্রায় জেতার জায়গায় রেখে এসেও ডাগআউটে বসে হার দেখা। ক্রিকেট-দেবতা দাদার জন্য সাসপেন্স ভরা স্ক্রিপ্টে একটুও বদল আনেননি, আবেগ-ভালবাসা প্রায় সবটাই দাদা তুমি পাবে। একটু ফাঁক থাকবে, সেটা ভিলেনদের জন্য। বিতর্ক, জরিমানা, দাদাগিরি এই ট্র্যাজিক হিরোর ইউ এস পি। দাদাকে নিয়ে সত্যি একটা ছবি হতে পারে। ব্যাপারটা আরও নির্ভুল হয়, যদি ছবির পাঞ্চলাইন হয়: ‘...সব পেলে নষ্ট জীবন...’।
পার্থসারথি ভট্টাচার্য। বোরহাট

অবসর নেওয়ার পরেও বয়স্ক ক্রিকেটাররা যে ভাবে রানের পিছনে ছুটে চলেছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে, আইপিএল-এর নাম ‘ইন্ডিয়ান পেনশন লিগ’ হলে মন্দ হত না!
কাজী পারভেজ। হরিণঘাটা

সম্প্রতি একটি বিখ্যাত Mall-এ তার সুন্দরী সদ্যবিবাহিত স্ত্রীকে দর কষাকষি করতে দেখে বিরক্ত তরুণ যুবকের মন্তব্য: উঃ, মেয়েরা এমনই, এখানেও দরদাম করছে! কথায় বলে না, স্বভাব যায় না ‘Mall’-এ!
ভাস্কর বসু। বেঙ্গালুরু

মমতা হিলারিকে উপহার দিলেন, হিলারি মমতাকে। আর জনতা পেলেন ট্র্যাফিক যন্ত্রণা!
শাশ্বত গুপ্ত। কল-৩২

রেখা চিত্র: অমিতাভ চাইছেন সরলরেখায় দূরত্ব কমাতে, জয়া বক্ররেখায় দূরত্ব বাড়াতে!
শোভনলাল বকসী। লেক গার্ডেন্স

দেশের গমের ফলন বেড়ে যাওয়ায় বাংলার পাট-শিল্পের কপাল খুলল। কারণ, প্রণববাবু সেই গম সংরক্ষণের জন্য চট করে চটের ব্যাগ সাপ্লাই দিতে বলেছেন। এই হল পাতি বাংলায়, ‘কভি খুশি কভি গম’!
তপন শিকদার। রামরাজাতলা
ফট করে গণ ছুটি, নেই দরখাস্ত,
যাত্রীর হয়রানি নিয়ে নেই চিন্তা।
মোটেও উচিত নয় করা বরদাস্ত।
কঠিন শাস্তি যেটা, সরকার দিন তা।
এ বার বলুক গোটা দেশ:
বুকে চেপে দাড়ি টানা জমানার শেষ।
ঘোরো গলে ঘুঁটে মালা নিয়া পাইলট, এয়ার ইন্ডিয়া
তুষার ভট্টাচার্য
বন্ধু রতনের হয়ে আমিই ঝুমুরকে সব ক’টা প্রেমপত্র লিখে দিয়েছিলাম। ঝুমুর ইস্কুলে যাওয়ার সময়, চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে রতন ঘেমেনেয়ে কোনও মতে ঝুমুরের হাতে প্রেমপত্রগুলি গুঁজে দিত। এসে বলত, ‘ঝুমুরকে বলেছি আজ বিকেল তিনটেয় ‘কল্পনা’ সিনেমা হলে চলে আসতে। ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ দেখব। তুইও আমার সঙ্গে থাকবি কিন্তু!’ রতন আর আমি কলেজ পালিয়ে তিনটের সময় সিনেমা হলে গিয়ে চাতক পাখির মতন অপেক্ষায় থেকেছি। অথচ ঝুমুর আসেনি।
ক্লাস টুয়েলভে পড়তে পড়তেই ঝুমুরের বিয়ে হয়ে গেল নাগপুরে। রতন আর আমার বুকে কয়েক দিন বাজল দুঃখের সানাই। সেই সময় আমার মনে হত, ইস্, আমি যদি ঝুমুরকে প্রোপোজ করতাম।
কিছু দিন পর রতন ওর বাবার অকালমৃত্যুজনিত কারণে পড়াশোনা বন্ধ করে পৈতৃক ব্যবসায় ঢুকে পড়ল। আমিও কলকাতায় পড়তে গিয়ে এবং চাকরি পেয়ে পাড়ার অনেক খবরই রাখতে পারিনি। চাকরি জীবনের মাঝ পর্বে বদলি নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। এক দিন রতনই শোনাল কথাটা, ‘বছর পাঁচেক হল, ঝুমুরের স্বামী মারা গিয়েছে। ঝুমুর এখন এখানেই থাকে। বেচারির কোনও ছেলেপুলেও নেই রে।’ রতনকে বললাম, তুই তো বিয়েই করিসনি সংসারের জোয়াল টেনে। ঝুমুরকে বিয়ে করবি? আমি যোগাযোগ করবখন।
এক রবিবারে ঝুমুরের সঙ্গে কথা বলব বলে ওদের বাড়িতে গেলাম। এ কথা সে কথার পর আমি রতনের সঙ্গে বিয়ের প্রসঙ্গটা তুললাম। ঝুমুর মাথা নিচু করে দৃঢ়তার সঙ্গে বলল, ‘না, তা আর হয় না।’ এই কথা শুনে আমি চলে আসছিলাম। ঝুমুর হঠাৎ বলল, ‘এক মিনিট দাঁড়াও।’ স্টিলের আলমারি খুলে আমার নিজের হাতে লেখা সেই প্রেমপত্রগুলি বের করে বলল, ‘এগুলি আমার সারা জীবনের ভালবাসার সঞ্চয়। নাগপুরেও আমি নিয়ে গিয়েছিলাম এই চিঠিগুলি। যে নিজের হাতে এমন সুন্দর চিঠিগুলি আমাকে লিখেছিল, তাকেই আমি মনপ্রাণ দিয়ে ভালবেসেছিলাম।’
মাল্টিপ্লেক্সগামী কালচারাল বাঙালির ধারণা ছিল
পঁচিশে বৈশাখেও প্রসেনজিৎ আছে!
অর্কদীপ্ত ঘোষ, মাঝেরহাট
ক্ষমা চাইছি
১৯৬৩ সাল। কলেজে ইংরাজি কবিতা পড়াতেন জে এন সি। ছোটখাটো চেহারার অধ্যাপক জে এন সি বেশ খানিকটা সময় দেরি করেই ক্লাসে আসতেন। এক দিন ক্লাসে তখনও তিনি আসেননি। আর না এলে যা হয়, গল্প, হাসি, চেঁচামেচিতে ঘর ধ্বনিময়। পাশের ঘরের অধ্যাপক বিরক্ত হয়ে আমাদের বকাবকি করে চলে গেলেন। আর তার কিছুক্ষণ পরেও জে এন সি ক্লাসঘরে ঢুকলেন। আমরা আবার সব চুপচাপ। জে এন সি দেখলেন তাঁর চেয়ারটি পেছন দিকে ঘুরিয়ে বসানো রয়েছে। উনি রেগে গিয়ে সকলকেই কে এই কাজ করেছে, তা জিজ্ঞেস করতে লাগলেন। কেউ কি আর তা বলে? তার পর তিনি শান্ত স্বরে বললেন, ‘তোমরা যারা আমাকে অপছন্দ করো, তাদের আমি ক্লাস ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছি। আমাকে এ ভাবে অপমান করার আগে অন্তত এক বার ভাবা উচিত ছিল যে, আমার পুত্র তোমাদেরও সহপাঠী। ওর মনের অবস্থাটা এক বার তোমরা চিন্তা করো তো।’
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা-৩৬

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.