|
|
|
|
|
|
রবিবাসরীয় গল্প |
মুড়িঘণ্ট |
মানব চক্রবর্তী |
পাশের বাড়ির বাগানে গোল একটা প্লাস্টিকের টেবিল। তাকে ঘিরে চারটে চেয়ার। সন্ধে লাগতেই তমাল এগুলো সাজিয়ে রাখে। তার পর বাগানের বাতিটা জ্বালিয়ে দেয়। বেশ লাগে। পরিষ্কার বাগানের এক পাশে একটা গোল টেবিল তাকে ঘিরে চারটে চেয়ার। এর পর আর একটু সময় গড়ালে তমাল পাজামা-পাঞ্জাবি পরে ফুলবাবুটি সেজে একটা চেয়ারে বসে। ওর বউ আসে। বসে। একটা ছেলে আর একটা মেয়ে, তারাও এসে বসে। কাজের মহিলা চা দিয়ে যায়। ওরা চা খায়। গল্প করে। হাসে। নিচু স্বরে কথা কয়।
একটু পরেই মেয়েটা উঠে যায়। বোধ হয় পড়তে গেল। তার পর ছেলেটাও। সেও বোধ হয় পড়তে বা টিভি দেখতে গেল। তমাল আর তার বউ মুখোমুখি বসে থাকে। চৈত্রের শুরু হলেও এ বারে গরম তেমন পড়েনি। বেশ সুন্দর বাতাস দিচ্ছে। আলোর মধ্যে চারটে চেয়ার। একটা টেবিল। সব ক’টা সাদা রঙের। আপাতত দু’জন মানুষ। বেশ লাগে দেখতে।
পাশের বাড়ির রতন তার পেয়ারা গাছটার আড়ালে বসে সন্ধে থেকে এই সব দেখে। তার সময়টা বেশ কেটে যায়। তারও বাগানে অনেকটা জায়গা আছে। আসলে রেলের কোয়ার্টার্স তো, বাড়ির সঙ্গে একটুকরো বাগানের জায়গা ফ্রি। যে পার ফসল ফলাও। ফুল ফোটাও। সব্জি লাগাও। অনেকে বাগানের পিছনে বাড়তি জলের কল বসিয়ে নিয়েছে। লম্বা সরু পাইপ লাগিয়ে বাগানের গাছে সকাল-সন্ধ্যা জল দেয়।
রতনের বাগান তেমন নয়। বলা ভাল এক অর্থে সেটা কোনও বাগানই নয়। এক কালে সে একটা পেয়ারা গাছ লাগিয়েছিল, পুজোর ফুলের জন্যই দুটো জবা গাছ, ব্যস। আর একটা বড় ঝাঁকড়া কুলগাছ আছে। সেটা বহু দিনকার। রতন এই আবাসে আসার আগে থেকেই আছে। কুলগাছে প্রচুর কুল হয়। সকালে গাছের তলায় পাকা কুল পড়ে থাকে। অত কুল দিয়ে সে কী করবে? আচার তো আর শুধু কুলে হয় না। তেল চাই, মশলা চাই, বয়াম চাই। রতনের বউয়ের অত সময় কোথায়! অসীমা স্থানীয় হাসপাতালের নার্স। খুব দায়িত্বের কাজ। ফলে রতনই কুল কুড়িয়ে, রোদে শুকিয়ে, একে-তাকে শুধিয়ে কুলের আচারে আর কী কী মশলা লাগে, সেটা জেনে নিয়ে অল্প কিছুটা আচার বানায়। রতনের হাতে আচার ভাল হয় না। অসীমা বলে এর চেয়ে বাজার থেকে আচার কিনে আনলেই তো হয়। অত হ্যাপা বইবার কী দরকার? সেখানে কত রকমের ভাল ভাল আচার পাওয়া যায়।
পেয়ারা গাছে ফুল এসেছে। সাদা গোল ফুল। রতন সেখানে বসে দেখতে পায় তমালের বাড়ির গেটের সামনে একটা ঝকঝকে চেরি রঙের গাড়ি এসে থামে। তমাল দ্রুত উঠে যায়। গাড়ির দরজা খুলতেই দুই কিশোর-কিশোরী, ঝলমলে পোশাকে ‘মণিদি মণিদি... অপুদা... অপুদা’ বলেই ছুটে যায় সোজা ঘরে। তমালের ছেলেমেয়ের ডাক নাম বোধ হয় অপু আর মণি। ওদের কলরোলে ঝকঝকে আলো জ্বালা বাগানসমেত বাড়িটা যেন হেসে ওঠে।
রতন দেখে তার পরই ধীর পায়ে নেমে আসে দু’জন। অবশ্যই স্বামী-স্ত্রী। যে ভাবে গায়ে গা ঠেকিয়ে যাচ্ছে, তাতে স্বামী-স্ত্রী হওয়াই স্বাভাবিক।
এ বারে ফের চারটে সাদা চেয়ার পূর্ণ হয়।
|
|
অন্ধকারে রতনের পায়ে মশা কামড়ায়। সে পরনের লুঙ্গিটা আর একটু নামিয়ে পায়ের পাতা ঢাকতে চেষ্টা করে। কিন্তু এত মশার উৎপাত যে বলার নয়। আসলে পেয়ারা গাছের পাতা, কুলগাছের পাতা, বড় বড় ঘাস সব মিলে বাগানটা বড্ড অপরিষ্কার। মাঝে আবার ছোট ছোট জংলা ঝোপও আছে কিছু।
ফলে মশার কামড় খেয়েও রতন বসে থাকে। অন্ধকারে বসে আলোর মাঝে মানুষ দেখতে বেশ লাগে।
তমালের কাজের মহিলা এ বারে ফের আসে। হাতে প্লেট। স্বাভাবিক। বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজন ঘরে এলে সবাই মিষ্টি-নোনতা দিয়ে আপ্যায়ন করে। তার পর চা।
ওদের আলোচনা বেশ শোনা যায়। আগন্তুক ভদ্রমহিলা বলে, এ বারে তোমরা একটা গাড়ি কেনো। মোটর বাইকে আর কত দিন! চার জনে একসঙ্গে ঘুরবে বেড়াবে।
তমালের বউ জবাব দেয়, কিনে তো ফেলতাম কবেই, তবে আমার ওই যে শখ, এক বারই তো কিনব, একটু দামি গাড়ি কিনব।
তাই বুঝি! বেশ বেশ... খুব ভাল...
তা কী গাড়ি?
স্যুইফ্ট ডিজায়ার... ভীষণ পছন্দ আমার। কথাটা শেষ করে তমালের বউ মিষ্টি শব্দে হাসে। তার পরে ফের বলে, আমরা তো গত সপ্তাহেই বুক করে এসেছি। কিন্তু ওই মডেলটার এত ডিমান্ড যে কমপক্ষে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে...
তমালের বন্ধু ওর পিঠে বন্ধুত্বপূর্ণ চাপড় মেরে বলে, বাপ রে তলে তলে এত, কিছুই বলিসনি যে... তবে একটা পার্টি দে...
তমাল হেসে বলে, হবে হবে... আগে গাড়িটা ঘরে ঢুকুক...
তমালের বন্ধুপত্নী সুরেলা গলায় হেসে বলে, আমরা তো মাটন বিরিয়ানি খাইয়েছিলাম, তোমাদের তার চেয়েও ভাল কিছু অ্যারেঞ্জ করতে হবে...
কেন?
বাঃ রে, তোমাদের গাড়ি দামি গাড়ি, আমাদের চেয়ে...
কথাটায় তমালের বউ মনে হয় খুব প্রীত হয়, সে খিলখিল শব্দে হাসতে থাকে, তার পর এক সময় হাত তুলে অভয় মুদ্রায় বলে, হবে, নিশ্চয়ই হবে, ভাল করেই হবে...
রতনেরও খুব আনন্দ হয়। সত্যি তো, মানুষের স্বপ্ন সফল হলে তখন গলার স্বর ঝর্না জলের মতো হয়ে যায়, হাসিতে নিবিড় আন্তরিকতা। সে আকাশের দিকে তাকায়। মেঘহীন আকাশে কত তারা। ঘাড় উঁচু করে বেশিক্ষণ তাকাতে পারে না রতন। ব্যথা হয়! কে জানে স্পন্ডিলাইসিস হচ্ছে কিনা! বয়েস তো আর কম হল না।
খাওয়াদাওয়া গল্পগুজব সেরে তমালের বাড়ির অতিথিরা চলে যায়। তমালের বউ ঘরে ঢোকে। ওদের কাজের লোক রান্না করলেও একটু তো সামনে দাঁড়াতে হয়, তেলটা, মশলাটা এগিয়ে দিতে হয়, নির্দেশ দিতে হয়, এমনি এমনি কি পদ স্বাদু হয়? আলোকিত রান্নাঘরের জানলা দিয়ে দেখা যায় তমালের বউ হাত নেড়ে কী যেন বলছে।
তমাল সিগারেট ধরায়। তার সামনে-পাশে তিনটে সাদা চেয়ার। ফাঁকা। সিগারেটের গন্ধটা ভেসে আসে। রতনের ধোঁয়া-তেষ্টা জেগে ওঠে। সে একটা বিড়ি বার করে। পেটটা একটু টেপে। কিন্তু ধরায় না। নিজের ঘরের দিকে তাকায়। তার পর নিঃশব্দে চৌকাঠ অবধি হেঁটে আসে। দেখতে পায় টিভি বন্ধ করে অসীমা এ বার হারমোনিয়ামের সামনে বসেছে। যাক, ঘণ্টা দুয়েক সে নিশ্চিন্ত। প্রথমে রেওয়াজ সারবে অসীমা। তার পর তোলা গানগুলো গাইবে। খুব ভাল গলা অসীমার। কিন্তু হাসপাতালের কাজ আর মেয়েকে পড়ানো এই দুইয়ের জাঁতাকলে গানের পাট উঠতে বসেছিল।
ভাগ্যি ভাল ওঠেনি। অনেক বছরের ব্যবধান সত্ত্বেও বছর দুয়েকের নিরলস চেষ্টায় সে ফিরে পেয়েছে গলা, সুর-তালের স্বাচ্ছন্দ্য। গান নিয়ে দিব্যি আছে সে। নিজে বলেও সে কথা, গানের মধ্যে ডুবে গেলে আমার কোনও একাকিত্ব নেই।
নিশ্চিন্তে বিড়ি ধরায় রতন। দেশলাইয়ের আলোয় দেখতে পায় পেয়ারার সাদা ফুলে ভ্রমরের গুনগুন। এক ফুল থেকে উড়ে অন্য ফুলে। এ ভাবেই তো নাকি পরাগমিলন ঘটে।
একটা মোটরবাইক দ্রুত গতিতে এসে থামে তমালের বাড়ির সামনে। গেট থেকেই ডাক দেয়, তমালদা...
অত জোরে ডাকার কী আছে শুনি! তমাল তো বাগানের চেয়ারে। রতন ভাবে জরুরি প্রয়োজন থাকলে মানুষের গলা নিজের অজান্তেই চড়া হয়।
দু’বোতল বি-গ্রুপের ব্লাড লাগবে। ট্রাকশান মোটরের বিশুর বউ হাসপাতালে ভর্তি... ইমিডিয়েট দরকার...
তমাল হেসে বলে, পজিটিভ না নেগেটিভ গ্রুপ?
পজিটিভ
ওটা আবার কোনও ব্যাপার নাকি! আমি ‘পুনর্জন্ম’ ভবনে ফোন করে দিচ্ছি, ওখানে বাবু আছে। ও জোগাড় করে দেবে।
পাব তো?
ওহ... গিয়েই দেখ না। কথা শেষ করেই তমাল মোবাইল টিপে ফোন করে।
দু’মিনিট কথা হয়। প্রবলেম সলভড। হেসে বলে, যাও, বাবু ওদের রেজিস্টার দেখে দু’জন লোককে ডাকিয়ে রাখছে।
থ্যাঙ্ক ইউ তমালদা...
এতে আবার ধন্যবাদের কী আছে! মানুষের জন্য কাজ। তা আমার মেয়ের ফিজিক্সের মাস্টারের ব্যাপারটা কী হল?
আগন্তুক ঘাড় নেড়ে বলে, ঠিক করে ফেলেছি। সব্যসাচী মুখার্জি। দুর্দান্ত ফিজিক্স পড়ায়। কিন্তু কিছুতেই প্রাইভেট টিউশনি করবে না। অনেক অনুরোধ করে তবে রাজি করিয়েছি। তিন দিনের ছুটিতে সব্যদা বাড়ি গিয়েছে, জয়েন করলেই আপনাকে ফোনে সরাসরি কথা বলিয়ে দেব...
যেমন স্পিডে এসেছিল তেমন স্পিডে চলে যায় ছেলেটা।
অন্ধকারে বসে বিড়ি টানতে টানতে রতন ভ্রমরের গুনগুন শুনতে পায়। জানলার ফাঁক দিয়ে অসীমার সুরেলা গলা ভেসে আসে ‘মধুর, তোমার শেষ যে না পাই প্রহর হল শেষ...’
রতনের নজরে পড়ে বাগানের চেয়ার থেকে উঠে যাচ্ছে তমাল। যেখানে বসে রতন গানটা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে তাতে তমালেরও শোনার কথা। এত ভাল গান এত সুরেলা গলা, তমাল উঠে গেল! পরক্ষণেই রতনের মনে হয়, ছিঃ, কী অন্যায্য ভাবনায় সে ডুবে আছে! হয়তো তমালের কানে সত্যিই পৌঁছয়নি ওই গান। বা তার কোনও কাজ মনে পড়েছে। সন্ধে থেকে বসে আছে এক বারও কি উঠবে না? সেটা হয় নাকি! মানুষের তো কত প্রয়োজন থাকে।
গানের আবেশে চোখ বন্ধ হয়ে যায় রতনের। তাতে মনে হয় দৃষ্টির পরিধি বেড়ে যায়। অন্ধকারে শুকনো পাতায় খসখস শব্দ হয়। বেড়ার ধারে একটা করবী ফুলের গাছ। সে দিক থেকে মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসে। তার ওপারে তমালের আলোকিত বাগান। চারটে চেয়ার একটা টেবিল। ফাঁকা।
কিন্তু ও বেশিক্ষণ ফাঁকা থাকার বস্তু নয়। ফের তমালের লোহার গেট খোলার শব্দ হয়। রতন ঘাড় তুলে দেখে খগেন কর্মকার। সে ডোর বেল টিপতেই তমাল বেরিয়ে আসে কী ব্যাপার খগেনদা?
এই এলাম আর কী! পাড়ায় তেমন একটা লোক পাইনে, যেখানে বসে দুটো গল্প করা যায়। শুধু তুমি ছাড়া।
খুশি হয়ে তমাল বলে, বসুন... বসুন...
ওদের গল্প শুরু হয়। স্পেকট্রাম কেলেংকারি, বিধানসভার ভোটযুদ্ধ, আই পি এল, অণ্ণা হাজারে সব জায়গায় ওরা ঘোরে। অক্লান্ত সে ভ্রমণ। রাগ, ক্ষোভ-বিক্ষোভ, আশা-হতাশার শেষে কুঞ্জভঙ্গ।
রতনের কানে কিছু আসে। কিছু আসে না। সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তার বাড়ি কেউ আসে না। হায়! আর পাশের বাড়ির চেয়ার খালি থাকে না। ওরা কত বিস্তৃত। সে কত সীমিত। ছোট্টর ছোট্ট সে একটা বিন্দুতে লীন।
রতনের ‘ছোট-বাইরে’ পায়। সে উঠে দাঁড়ায়। কিন্তু দু’পা গিয়েই মনে হয় তাকে ভেতরের বাথরুমে যেতে হলে অসীমাকে উঠে দরজাটা খুলতে হবে। তা কী করে সম্ভব? অসীমা নতুন গান ধরেছে ‘আকাশ আমায় ভরল আলোয় আকাশ আমি ভরব গানে...’ এ সময় তার মগ্নতা ভঙ্গ করা অপরাধ। রতনের মন বহু দূরে চলে যায়। সে স্পন্দনহীন বসে থাকে। বসেই থাকে। তার সব প্রয়োজন থেমে গিয়েছে। এ বারে তমালের বাগানের বাতি নেভে। পাকাপাকি। আজ রাতের জন্য। চেয়ার-টেবিল উঠে যায়।
খেয়েদেয়ে রাত সাড়ে এগারোটায় রতন শুয়ে পড়ে। লো-ভলিউমে অসীমা তখন টিভি দেখে। দু’জনের দুটো ঘর। মাঝে ড্রইংরুম। শুয়ে শুয়ে রতন অসীমার ‘আলোয় ভরা আকাশ’-এর সন্ধান পেতে চেষ্টা করে। তার পর এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে।
তখন কত রাত কে জানে! অসীমার হাসি আর কথায় ঘুম ভেঙে যায়।
রতন কান খাড়া করে শোনে। মাথার পাশে রাখা মোবাইল টিপে সময় দেখে। রাত তিনটে। তখনই ফের কানে আসে ‘মুড়িঘণ্ট’ শব্দটা। অসীমা হাসছে। হো হো করে। মোবাইলে বলছে, কী বললি? পাঠাতে ইচ্ছে করছে? ফের হাসি।
রতন টের পায় অসীমার আকাশ আলোয় ভরে উঠেছে। মোবাইল বন্ধ করে কিছুক্ষণ পরেই অসীমা রতনের ঘরে ঢোকে শুনছ, ঘুমিয়ে পড়েছ?
না, ঘুম ভেঙে গিয়েছে... তোমার কথা শুনছিলাম।
পাগল মেয়ে। মুড়িঘণ্ট রান্না করেছে। খেয়েছে, বন্ধুদেরও খাইয়েছে। সবাই বলেছে নাকি দারুণ হয়েছে। পম্পি ফোন করেছিল হার্টফোর্ডশায়ার থেকে, বলছে, তোমাকে পাঠাতে খুব ইচ্ছে করছে মা... যা ডিলিশাস হয়েছে না!
রতন হেসে বলে, মুড়িঘণ্ট রান্না কী সোজা?
অন্ধকারে চুপ করে দাঁড়িয়ে অসীমা। এক সময় ভারী গলায় বলে, লন্ডন যাওয়ার আগে হাতে ধরে চা বানানো, ওমলেট করা শিখিয়েছিলাম। সে এখন মুড়িঘণ্ট রেঁধে খাচ্ছে। খাওয়াচ্ছে।
অসীমা খিলখিল করে হেসে ওঠে, তার পর হাসতে হাসতেই মাঝের দরজা বন্ধ করে। রতন স্পষ্ট শুনতে পায় অসীমার গুনগুন আকাশ আমায় ভরল আলোয়...
গোটা ঘরটা এখন অন্ধকার। কিন্তু তার মধ্যেও একটা আলো আছে। আছেই। সেটা যে যে ভাবে দেখে। যেমন অসীমা দেখছে রতন দেখছে মুড়িঘণ্টের আলো এক মহাদেশ ছাড়িয়ে অন্য মহাদেশের দূরবর্তী প্রত্যন্ত এক শহরের অন্ধকার আকাশ আলো করে রেখেছে।
|
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|