ঝড়বৃষ্টির সময়ে লাগোয়া দুই জেলার ৩টি এলাকায় বাজ পড়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টায় উত্তর দিনাজপুরে ১০ জনের ও মালদহের চাঁচলে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ১০ জন। পুলিশ জানায়, উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকের দোমহনা ১ পঞ্চায়েতের সিনানদিঘিতে বাজ পড়ে একটি শিশু-সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে আছেন বাবা-মা ও ছেলে। তাঁরা হলেন, আকালু দাস (৪০), বুধো দাস (৩৮), কাজল দাস (১০)। অন্যদের নাম অতুলচন্দ্র দাস (৪০), ইব্রাহিম আলি (৯), নুর ইসলাম (৪৫) ও আজাহার আলি (১৩)। সকলেরই বাড়ি সিনানদিঘি ও সংলগ্ন করচা এলাকায়। এসরাইল আলি ও খাবির আলম নামে দুই বালক জখম হয়েছে। সকলেই শস্যখেতে কাজ করছিলেন। কালিয়াগঞ্জের বেউরঝাড়ি এলাকায় জমিতে কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় মিলন রায় (২৬) নামে এক মহিলার। জখম হন তাঁর সঙ্গী আরও তিন মহিলা। ওই জেলারই গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়ায় বাজ পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত সুমিতা হরিজনের (২৫), বাড়ি চাকুলিয়া থানার বারোঠিয়ায় এবং পারবিনা বেগমের (৩৬), বাড়ি গোয়ালপোখরের ভেরস্থানে। তাঁর ১০ মাসের মেয়ে জখম হয়েছে। বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার জন্য বার হওয়ার সময়ে বাজ পড়ে মারা যান সুমিতা হরিজন। তাঁর স্বামী গুরুতর জখম অবস্থায় বিহারের কিসানগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশের জেলা মালদহের চাঁচলের সদরপুরে ঝড়বৃষ্টির সময় মাঠ থেকে গবাদি পশু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাজ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম দুলালি দাস (৩৫)। |
উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “সরকারি নিয়মে মৃতদের পরিবার যাতে দ্রুত সরকারি ক্ষতিপূরণ পায় সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে।”
প্রায় একই সময়ে ঝড়ে বিপর্যস্ত হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লক। বাজ পড়ে জখম হন ২ জন। হরিরামপুরের সৈয়দপুর, গোকর্ণ এবং বাগিচাপুর অঞ্চলে কয়েকশো মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে।
বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে নিষ্প্রদীপ হয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা।
বালুরঘাট শহরে অন্তত ২৭ টি জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “দুর্গত এলাকাগুলিতে ত্রাণ সামগ্রী দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।” |