মালদহে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার ওই দুজনকে শহর লাগোয়া নারায়ণপুর এলাকা থেকে ধরে পুলিশ। ধৃতরা দুজনেই জালালপুর এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ নানা অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগে পুরানো মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাশাপাশি, বাকি ৬ জনকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ধৃতদের টানা জেরা করে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। ধৃতরা দাবি, করেছে, ওই বধূ পরিচিত একজনের সঙ্গেই বাইকে করে একটি ধাবায় খেতে গিয়েছিলেন। তাঁকে গাড়িতে করে কেউ তুলে নিয়ে যায়নি বলে ধৃতরা পুলিশের কাছে দাবি করেছে। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “অভিযোগকারিণী যে ধর্ষিতা হয়েছেন তা নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ নেই। আমরা অভিযুক্তদের ধরে সাজার ব্যবস্থা করব। তবে জেরায় ধৃতরা দাবি করেছে, অভিযোগকারিণী শপিং মলের সামনে থেকে তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে বাইকে চড়ে গিয়েছিলেন। এই তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগকারিণীর সঙ্গেও কথা বলা হবে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের পরিচয় জানানো হচ্ছে না।” এ দিন অভিযোগকারিণী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর দাদা পুলিশের পাওয়া তথ্যের কথা শুনে বলেছেন, “বোনের পরিণতির জন্য ভগ্নিপতিই দায়ী। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে পুলিশ গৃহবধূর হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের কল রেকর্ড থেকে কিছু সূত্র পায়। তার পরেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জবানবন্দি অনুযায়ী ওই গৃহবধূ স্বেচ্ছায় শপিং মলের সামনে থেকে পরিচিত দুই যুবকের সঙ্গে একটি বাইকে মঙ্গলবাড়ির দিকে যান। ৫-৬ জন সেখানে জড়ো হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানতে পেরেছে, ৭ বছর আগে ওই মহিলার বিয়ে হয়। আথির্ক কারণে ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর মনোমালিন্য চলছিল। সেই সময়েই ওই মহিলার সঙ্গে জালালপুরের দুই যুবকের ঘনিষ্ঠতা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায়দিন ওই মহিলা ওই দুই যুবকের সঙ্গে বাইকেল মঙ্গলবাড়ি এলাকায় ধাবায় যেতেন। রাত ১১টা ১২টা নাগাদ বাড়ি ফিরতেন। মঙ্গলবার ছেলেকে প্রাইভেট পড়াতে দিয়ে গৃহবধূ রথবাড়ির কাছে শপিং মলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন। অভিযোগ, রাত ৮ টা নাগাদ দুই যুবক বাইকে গৃহবধূকে নিয়ে যায়। তারা নারায়ণপুরের কাছে এক ধাবায় যান। সেখানে প্রথমে ওই দুই যুবক ও পরে আরও ৬ জন বধূকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। |