কালনার দুই নার্সিংহোমে অভিযান প্রশাসনের |
সরকারি হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক কর্তব্যে ফাঁকি দিয়ে নার্সিংহোমে চিকিৎসা করছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার কালনার দু’টি নার্সিংহোমে অভিযান চালালেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। এ দিনের যান কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি ও এসিএমওএইচ সুভাষচন্দ্র মণ্ডল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি নার্সিংহোমের নথিপত্র পরীক্ষা করে জানা যায়, কালনা মহকুমা হাসপাতালের তিন জন চিকিৎসক এই নার্সিংহোমে চিকিৎসা করেন। তাঁদের মধ্যে এক জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। অভিযান চলাকালীন গত এপ্রিল ও চলতি মে মাসে ওই চিকিৎসকেরা এই নার্সিংহোমে কোন কোন অস্ত্রোপচার করেছেন, তা নথিভুক্ত করেন এসিএমওএইচ। তবে শুধুমাত্র স্ত্রী রোড বিশেষজ্ঞের ক্ষেত্রেই সমস্ত অস্ত্রোপচারের তারিখ ও সময়ের বিবরণ পাওয়া গিয়েছে। অন্য দু’জনের ক্ষেত্রে সমস্ত বিবরণ মেলেনি। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে সমস্ত তথ্য ঠিক মতো সংরক্ষণের নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক।
শহরের অন্য একটি নার্সিংহোমে গিয়ে বিপিএল তালিকাভুক্ত ও তাঁতিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ওই নার্সিংহোমে করা হয় বলে প্রচার করা হয়, কার্যক্ষেত্রে তার সব হয় না। মহকুমাশাসক জানান, ওই পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষকে শো-কজ করতে বলা হয়েছে এসিএমওএইচ-কে।
অভিযান প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক বলেন, “অস্ত্রোপচারের তারিখ ও সময় দেখে পরীক্ষা করা হবে, ওই সময়ে নির্দিষ্ট চিকিৎসকের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করার কথা ছিল কি না। এসিএমওএইচ এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। কোনও গাফিলতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে শো-কজ করা হবে।” নার্সিংহোমের খাতায় অস্ত্রোপচারের তারিখ ও সময় ঠিক মতো সংরক্ষণ না করা হলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। মহকুমাশাসক আরও বলেন, “এ দিনের অভিযানের ব্যাপারে এসিএমওএইচের কাছে একটি রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।এই ধরনের অভিযান ধারাবাহিক ভাবে চালানো হবে।”
হোটেলে আগুন। আসানসোলের একটি হোটেলে আগুন লেগে যায় বৃহস্পতিবার রাতে। পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আধ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। আসানসোল দমকলের ওসি সেলিম জাভেদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, হোটেলের রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগে। দু’টি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে আনে। |