|
|
|
|
চোলাই বিক্রি অসামাজিক কাজের অভিযোগ |
দম্পতির ঘরে চড়াও জনতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
চোলাই মদ বিক্রি ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে এক দম্পতির বাড়ি ভেঙে দিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি থানার টাউন স্টেশন সংলগ্ন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, ওই দম্পতির নাম রাজকুমার ছেত্রী ও কৌশল্যা ছেত্রী। তাঁরা প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে রেলের একটি জায়গায় বসবাস করেছেন। আইন হাতে তুলে নিয়ে এভাবে তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।” স্থা্নীয় বাসিন্দা তথা এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর নিখিল সাহানির দাবি, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে চোলাই মদ বিক্রি ও অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। ওই বাড়িতে গ্যাস সিলিণ্ডার বেআইনি ভাবে মজুত করেও বিক্রি করা হত। বিষয়টি পুলিশকেও কয়েক দফায় জানানো হয়। তার পরেও পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বাড়িতে ভাঙচুর করেছেন। অনেক আগেই আমি পুলিশকে জানিয়েছি। ওই মহিলাকেও বুঝিয়েছি। কিন্তু তার পরেও বেআইনি কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষের আবেগের সঙ্গে একমত। এলাকায় বেআইনি কাজকর্ম করা যাবে না।” ওই মহিলা কৌশল্যাদেবী অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁর স্বামী রিকশা চালান। তিনি অপরের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। তিনি বলেন, “কয়েকদিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এদিন সকালে মহিলাদের একটি দল এসে বাড়িতে ভাঙচুর করে। আমার ঘর থেকে টাকা ও জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সমস্ত জিনিস ভেঙে দেওয়া হয়। ঘরের সমস্ত বেড়া ভেঙে দিয়েছে। এবারে আমি এক ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে কোথায় থাকব? পুলিশকে সব জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।” ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন সিপিএমের শিলিগুড়ি ৩ নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক পুলক দাস। তিনি বলেন, “কাউকে উচ্ছেদ করার ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করি। রেলের জায়গা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করবে। এভাবে তৃণমূল সমর্থকরা কেন হামলা করবে। আর ওই মহিলা যদি অসামাজিক কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তা দেখার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। এখন রাজ্যে তৃণমূলের সরকার তাহলে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না কেন? এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য থাকতে পারে। আমরা ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।” তৃণমূলের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, এ ঘটনার পেছনে তাদের কোনও হাত নেই। |
|
|
|
|
|