রাজ্যে পালাবদলের পরে প্রথম ‘ভোট-পরীক্ষা’য় (উপ-নির্বাচন বাদে) পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে চলেছে শাসকজোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও তৃণমূল।
আগামী ৩ জুন ছ’টি পুরসভার ভোট। শুক্রবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরে দেখা গেল, ছ’টির একটিতেও জোট হয়নি। বরং কংগ্রেসকে তৃণমূল প্রার্থী প্রত্যাহারের জন্য ভয় দেখাচ্ছে অভিযোগ করে এ দিন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের দ্বারস্থ হল শরিক কংগ্রেস। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “হুমকি আর ভয়েই হলদিয়ায় চার জন এবং দুর্গাপুরে তিন কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন। সবটাই কমিশনারকে জানিয়েছি।” রাজ্য সরকারের কাছে মান্নানের অনুরোধ, “এই পুরভোট সরকারের প্রথম ভোট-পরীক্ষা। ভোট-প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়, এমন কোনও কাজ যেন প্রধান শাসক দল না করে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উনিও ব্যাপারটা দেখুন।” প্রচারেও বাধা পেলে কংগ্রেস রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের দ্বারস্থ হবে বলে মান্নান জানান।
‘একলা চলা’র হুমকি দিয়ে দু’দলেরই কাজিয়া চলছেই। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ও পাঁশকুড়া, বীরভূমের নলহাটি, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এবং নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্পে জোটের সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। কিন্তু দুর্গাপুরে এক সঙ্গে দু’দলের নেতারাই জানিয়েছিলেন, জোট হচ্ছে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরে দেখা যায় দুর্গাপুরে ৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৫টিতেই লড়ছে কংগ্রেস। এর মধ্যে কুপার্স ছাড়া বাকি পাঁচটিতেই বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে। ছ’টিতেই লড়ছে বামফ্রন্ট। ফলে, পাঁচ পুরসভায় চতুর্মুখী এবং কুপার্সে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। দুর্গাপুর, হলদিয়া ও ধূপগুড়ি এখন বামেদের দখলে। যদিও লক্ষ্মণ শেঠ-পর্বের পরে হলদিয়ায় সিপিএমের সংগঠন অনেকটাই ‘বিপর্যস্ত’। পাঁশকুড়ায় রয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। কুপার্সে কংগ্রেস ও নলহাটিতে তৃণমূল। ২৬ আসনের হলদিয়ায় তৃণমূল সব আসনে এবং কংগ্রেস ১৭টিতে লড়ছে। ১৭ ওয়ার্ডের পাঁশকুড়ায় কংগ্রেস ১৫টিতে এবং তৃণমূল সব আসনেই লড়ছে।
ধূপগুড়ির ১৬ আসনের মধ্যে তৃণমূল সব এবং কংগ্রেস ১১টিতে লড়ছে। ১৫ আসনের নলহাটি এবং ১২ আসনের কুপার্সে সব আসনেই শাসকজোটের দুই শরিক লড়ছে। |