টুকরো খবর
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু সাইকেল আরোহীর
-নিজস্ব চিত্র।
ম্যাটাডর চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। আহত হয়েছেন ম্যাটাডরের তিন আরোহী। তাঁদের রায়দিঘি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি-মথুরাপুর রোডে ৩ নম্বর চোদ্দোরশ্মি বাসমোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বাসুদেব হালদার (৫০)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় সিংহের চক গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বাসুদেববাবু সাইকেলে করে রায়দিঘির দিকে যাচ্ছিসেন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা ম্যাটাডরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে চাপা দিয়ে রাস্তার ডানদিকে একটি বাড়ির দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় বাসুদেববাবু-সহ চারজনকে কাছেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাসুদেববাবুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

কালভার্ট ভেঙে বালিভর্তি ট্রাক খালে
-নিজস্ব চিত্র।
কালভার্ট ভেঙে একটি বালিভর্তি ট্রাক উল্টে পড়ল খালে। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার দক্ষিণ কলসূর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির সামেনর কাচ ভেঙে চালক এবং খালাসিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চালক ও খালাসি সামান্য আহত হন। ঘটনার সময় কালভার্টের উপর কেউ না থাকায় বড় ধরনের বিপদ এড়ানো গিয়েছে। দিন পনেরো আগে ওই কালভার্টটি তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভারী গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত নয় কালভার্টটি। তা সত্ত্বেও রোজ ভারী ভারী ট্রাক চলাচল করে। প্রশাসনের তরফে তা নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ বালিভর্তি ট্রাকটি কালভার্টে ওঠার সময় স্থানীয় মানুষজন ট্রাকের চালককে নিষেধ করেন। কিন্তু চালক সেই নিষেধ শোনেননি।

বিষমদে মৃত্যু, রায়ের আগে ক্ষতিপূরণ নয়
স্থগিতাদেশ ছিলই। সেই সঙ্গেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, বিষমদ নিয়ে জনস্বার্থের মামলার চূড়াম্ত রায় না-হওয়া পর্যন্ত মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ করে টাকা দেওয়া যাবে না। মগরাহাটে বিষমদ খেয়ে ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। তা নিয়ে দু’টি জনস্বার্থের মামলা হয়। এ দিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল ও বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ সাময়িক ভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। বিষমদ তৈরি ও বিক্রি বন্ধ করার জন্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, রাজ্য সরকার এবং বিশেষ ভাবে আবগারি দফতরকে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সরকার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্ট জমা দেয় আবগারি দফতরও। ওই রিপোর্ট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চ । কারণ রিপোর্টটি মার্চের। এখন মে মাস। আদালতের প্রশ্ন, এই রিপোর্টের মূল্য কী? সরকারি আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত বলেন, রিপোর্টটি মার্চের হলেও বিষমদ তৈরি বন্ধে আবগারি দফতর দৈনন্দিন ভিত্তিতে কাজ করে চলেছে।

জলসম্পদ দফতরের নতুন ভবন চালু বনগাঁয়
জলসম্পদ অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন দফতরের নতুন প্রশাসনিক ভবন চালু হল বনগাঁয়। বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতি অফিস চত্বরে ৫৬ লক্ষ টাকায় নির্মিত নতুন ভবনের শুক্রবার দ্বারোদ্ঘাটন করলেন ওই দফতরের মন্ত্রী সৌমেনকুমার মহাপাত্র। এত দিন বনগাঁয় ওই দফতরের নিজস্ব কোনও ভবন ছিল না। ভাড়াবাড়িতে অফিস চলত। মন্ত্রী বলেন, “বনগাঁয় দফতরের নিজস্ব ভবন তৈরি হওয়ায় এখন থেকে মহকুমার মানুষকে উপযুক্ত পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দফতরের সচিব সুব্রত বিশ্বাস, মুখ্য বাস্তুকার প্রশান্তকুমার সরকার, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস প্রমুখ। এ দিন ইছামতী নদী পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “বনগাঁ আর্সেনিক প্রবণ। আমরা চাষের কাজের জন্য মাটির তলার জলের ব্যবহার কমাতে চাইছি। ইছামতী-সহ অন্য নদীগুলি সংস্কার করে মিষ্টি জলের সম্পদ বাড়ানো হবে।”

বধূ নির্যাতন, ধৃত শ্বশুর ও দেওর
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে শ্বশুর ও দেওরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে হাবরার কুমড়ো এলাকার বাসিন্দা, প্রাক্তন সেনাকর্মী রঞ্জিত মণ্ডল এবং তাঁর ছোট ছেলে স্বদেশকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে রঞ্জিতবাবুর বড় পুত্রবধূ জানিয়েছেন, বছর আটেক আগে তাঁর বিয়ে হয়। বাপেরবাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে যা দেওয়া হয়েছিল, সে সব জিনিস রঞ্জিতবাবু পরে তাঁর মেয়ের বিয়েতে দিয়ে দেন। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল। তাঁর উপরে নির্যাতনও চালানো হচ্ছিল। স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির ৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। শ্বশুরের বিরুদ্ধে তিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগও এনেছেন। পুলিশ জানায়, বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।

অধ্যাপক সেজে প্রতারণা, ধৃত
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকের ‘ভুয়ো’ পরিচয়ে ৬০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার, সুভাষগ্রাম থেকে। ধৃতের নাম সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় ওরফে শঙ্কর মুখোপাধ্যায়। পুলিশ জানায়, তিনি স্নাতক ও কম্পিউটারে ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত। অভিযোগ, কয়েক মাস আগে সুশান্ত অধ্যাপক পরিচয়ে অভিজিৎ সাউ নামে এক ট্র্যাভেল এজেন্টকে দুরন্ত এক্সপ্রেসে মুম্বই যাওয়া-আসার ৭টি টিকিট কাটতে বলেন। আরও অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্যাড নকল করে বুকিংয়ের আবেদনপত্র লেখেন সুশান্ত এবং ওই প্রতিষ্ঠানে ডেকে অভিজিতের সঙ্গে দেখা করেন। এর পরে বুকিং বাতিল করে ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশে অভিযোগ করেন অভিজিৎ। শুক্রবার সুশান্তকে ১৯ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেয় আদালত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.