ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে চড় মারায় এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ভোলা দাস (৫৫)। বাড়ি বসিরহাটের বড় জিরাফপুর গ্রামে। তাঁর মেয়ে সাধনাদেবী পুলিশের কাছে পুষ্প দাস নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ। বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার বলেন, “ময়না-তদন্ত এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ মে বসিরহাট স্টেশন এলাকা থেকে মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভোলাবাবুর ভ্যানে ওঠেন পুষ্পদেবী। ভ্যান আস্তে চালাচ্ছিলেন ওই প্রৌঢ়। মেয়ের স্কুলে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাবে দেখে ভোলাবাবুকে জোরে ভ্যান চালাতে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু তাতেও তিনি জোরে না চালানোয় গন্তব্যের আগেই ভ্যান থেকে নেমে পড়েন ওই মহিলা। সেই সময় ভাড়া নিয়ে দু’জনের বচসা হয়। অভিযোগ, তখনই ভোলাবাবুর গালে ওই মহিলা চড় কষিয়ে দেন। ওই ভ্যানচালক পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান। স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় তাঁকে। বাড়ি ফেরার পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরের দিন সকালে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবণতি হওয়ায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা না নাগাদ সেখানে ওই ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়।
মৃতের ভাগ্নে রাজু বিশ্বাস এবং মেয়ে সাধনা বলেন, “ওই মহিলা ২০০ টাকা দিয়ে সাহায্য করতে এসেছিলেন। আমরা তা ফিরিয়ে দিই। গত ৬মে মহিলার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুষ্পদেবীকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের বক্তব্য, ভাড়া নিয়ে কটু কথা বলায় পুষ্পদেবী তার প্রতিবাদ করেছিলেন। অসুস্থতার কারণেই ওই ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। |