গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এক গ্রামবাসীর ধানঝাড়া মেশিনের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর পাওয়ার টিলারও। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর গ্রামে। যদিও সিপিএম সমর্থক ওই পরিবারের কর্তা ধনঞ্জয় বণিকের অভিযোগ, তাঁরা সিপিএম সমর্থক হওয়ার ‘অপরাধেই’ তৃণমূলের লোকজন হামলা চালিয়ে তাঁদের ঘরে আগুন দেয়। এমনকী তাঁদের খুনেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে ওই পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, “এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সিপিএমের রায়দিঘি লোকাল কমিটির সদস্য ইয়াসিন গাজির অভিযোগ, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধনঞ্জয়বাবু তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু দলের কাজকর্মে বীতশ্রদ্ধ হয়ে তিনি সিপিএমে যোগ দেন। |
সেই কারণেই তাঁকে তৃণমূলের লোকজনদের হাতে অত্যাচারিত হতে হল। এ ব্যাপারে ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।’’ অন্যদিকে সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। নগেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা জয় ভাণ্ডারী বলেন, “এটা গ্রাম্য বিবাদের জের। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নগেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় বণিকের বাড়ির পাশে একটি শিরীষ গাছ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই গাছ কাটতে আসে তৃণমূলের লোকজন। তাঁদের দাবি ছিল, ওই গাছ কেটে কাছেই গ্রামের শীতলা মন্দির লাগোয়া পুকুরের ঘাট বাঁধানো হবে। কিন্তু গাছ কাটতে বাধা দেন ধনঞ্জয়। খবর দেওয়া হয় থানাতেও। একটু পরে সেখান থেকে চলে যায় তৃণমূলের লোকজন। ওই দিন রাতেই কে বা কারা ধনঞ্জয়বাবুর ধানঝাড়া মেশিনের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর পাওয়ার টিলারও। ধনঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, “এক সময় আমরা তৃণমূলের সমর্থক ছিলাম। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পরে সিপিএমে যোগ দিই। তার পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন আমাদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে।’’ যদিও এ সবই মিথ্যা বলে দাবি করে মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি কংসমোহন কয়াল জানান, গাছটি ধনঞ্জয়বাবুর জমিতে নাকি খাস জমিতে আছে, তা দেখতে এ দিন বিএলআরও দফতর থেকে সার্ভে করতে গিয়েছিল। তাতে দেখা যায় গাছটি খাস জমিতে রয়েছে। কিন্তু ধনঞ্জয় জোর করে গাছের মালিকানা দাবি করাতেই গোলমাল বাধে। |