|
|
|
|
সিপিএম শাখা সম্পাদকের অস্বাভাবিক মৃত্যু কেশপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিপিএমের এক শাখা সম্পাদকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেশপুরে। মৃত দুর্যোধন সামন্ত ওরফে রঞ্জিতের (৪৬) বাড়ি কানুনিয়া গ্রামে। তিনি নেড়াদেউল লোকাল কমিটির অন্তর্গত পালংপুর শাখা কমিটির সম্পাদক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে থেকে খোঁজ মিলছিল না। শুক্রবার দুপুরে গ্রামের অদূরে এক গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এটি খুন না আত্মহত্যার ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরি বলেন, “ওই ব্যক্তি আগের দিন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ দিন গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।” সিপিএম নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রাজ্যে পালাবদলের পরে কেশপুরের বহু সিপিএম নেতা-কর্মীই ঘরছাড়া হয়েছিলেন। তবে দুর্যোধন ঘরছাড়া হননি বলেই দলীয় সূত্রে খবর। ওই সূত্রই জানিয়েছে, সিপিএম ছাড়ার জন্য তাঁর উপরেও ‘চাপ’ আসত। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ তাঁকে দল ছাড়ার কথাও বলতেন। কানুনিয়ার পাশে দিয়েই বয়ে গিয়েছে নদী। নদীর অন্য পাশে কলাগ্রাম। গত ক’দিন ধরেই কেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার সকালে কলাগ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। আহত হন ২ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সিপিএম সূত্রে খবর, গোষ্ঠী-সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় দুর্যোধনের বাড়িতে চড়াও হন স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। ওই সিপিএম নেতা কোনও ভাবে পালিয়ে যান। এর পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। তিনি স্বেচ্ছায় কোথাও চলে গিয়েছিলেন, নাকি তাঁকে ‘অপহরণ’ করা হয়েছিল, তদন্তে নেমে তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে সিপিএম দলীয় ভাবে এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি কোনও অভিযোগ করেনি। কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। কেশপুরে লাগাতার যে ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা প্রত্যাশিত নয়।” অন্য দিকে, তৃণমূলও ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। দলের কেশপুর ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিক বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। পুলিশ সত্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করুক।” শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে দেহ উদ্ধার করে থানায় আনে। |
|
|
|
|
|