|
|
|
|
তলব ভবানী ভবনে |
প্রতারণা-চক্রে নাম জড়াল পুলিশ কর্মীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার ঘটনায় জড়িয়ে গেল এক পুলিশকর্মীর নাম! বাসুদেব সিংহ নামে ঝাড়গ্রাম আর-ও অফিসে কর্মরত ওই এএসআইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার ভবানী ভবনে তলব করা হয় বলে সিআইডি সূত্রে খবর। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক জন অফিসার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সিআইডি সূত্রে খবর, ওই পুলিশকর্মী দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। পুরো বিষয়টি নিয়ে অবশ্য জেলা পুলিশ মুখে কুলুপ এঁটেছে। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার এক অফিসার বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানি না।”
পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগে বুধবার রাতে খড়্গপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত মিহির রানার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কুলটিকরিতে। অনুপ পট্টনায়েকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের হাউরে। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালত তাঁদের ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে পুলিশ ও সিআইডির দল যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ওই ২ জনকে গ্রেফতার করে। শুরুতে জেলা পুলিশ তদন্ত করলেও শুক্রবার থেকে তদন্তভার নেয় সিআইডি। মিহির-অনুপকে জেরার সূত্রেই উঠে আসে পুলিশকর্মী বাসুদেব সিংহের নাম। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় ভবানী-ভবনে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাঁকরাইলের দিলীপ সিংহ নামে এক যুবক অভিযোগ করেন, পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। জুনিয়র কনস্টেবল পদের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পরে সম্প্রতি মৌখিক পরীক্ষাও দিয়েছেন দিলীপ। এর পরই এক জন তাঁকে ফোন করে জানান, মৌখিক পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬। এই নম্বরে চাকরি পাওয়া অসম্ভব। তবে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হলে চাকরি হয়ে যাবে। বুধবার রাতে ২০ হাজার টাকা নিয়ে খড়্গপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আসেন দিলীপ। কথা ছিল, এখানেই ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হবে। সেই মতো দেখাও হয়। ফাঁদ পেতে মিহির-অনুপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিলীপের দেওয়া ২০ হাজার টাকা প্রথমে মিহিরই নিয়েছিলেন। পরে ওই টাকা তিনি অনুপের হাতে তুলে দেন। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই পুলিশকর্মী বাসুদেব সিংহের কথা জানা যায়। ধৃতদের দাবি, মৌখিক পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছেন, তার একটি তালিকা বাসুদেবই তাঁদের দেন। |
|
|
|
|
|