দক্ষিণ কলকাতা
বাইপাস
আশঙ্কার আধাঁর
ম্প্রতি কালিকাপুর মোড়ে মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠার পরেও বাইপাসের চেহারাটা বদলায়নি। উল্টে বাইপাসের বেশ কিছু জায়গা প্রতিদিনই অন্ধকারে ডুবে থাকছে। তার উপর পুলিশের টহলদারির অভাব বাইপাসের নিরাপত্তায় বড় প্রশ্ন তুলেছে।
কলকাতার অন্যত্র সন্ধে হওয়ার আগেই যখন রাস্তায় আলোর বন্যা, তখন ইর্স্টান মেট্রোপলিটন বাইপাসের সায়েন্স সিটি মোড়ের ব্রিজের পর থেকে অধিকাংশ আলোই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ওই সেতুর পর থেকে কলকাতা পুলিশের অধীন গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় আলো থাকলেও তা জোরালো নয় বলে অভিযোগ। তার উপর আলোগুলি এখানে এত উঁচুতে লাগানো যে আলো রাস্তায় এসে ঠিকমতো পড়ে না বলে অভিযোগ।
ইর্স্টান মেট্রোপলিটন বাইপাসের উপর সব বৈদ্যুতিক আলো কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা কেএমডিএ-র। কেএমডিএ-র জনসংযোগ আধিকারিক সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
এ রকম আলো-আঁধারি রাস্তায় রাত যত বাড়ে পুলিশের দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ। সন্ধ্যার পরে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও পুলিশের টহলদারি নজরেই আসে না। ডিসি ট্রাফিক (সাউথ) প্রদীপ আদক বলেন, “কেউ বিপদে পড়লে ট্রাফিক পুলিশের সাহায্য চাইতেই পারেন। তবে দরকারে এলাকার থানাগুলি টহলদারি করে।”
সায়েন্স সিটি থেকে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত এলাকাটি কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকটি থানার অন্তর্গত। বাইপাসের এই অংশ ডিসি (এসইডি) এবং ডিসি (এসএসডি)-র আওতায় পড়ে। থানা সূত্রে খবর, এলাকায় সারা দিনই টহলদারি চলে। তবে লোকবল এবং গাড়ি কম থাকায় সাধারণত সাইকেল এবং মোটরসাইকেল নিয়েই টহলদারি বেশি চলে। ডিসি (এসএসডি) সুজয় চন্দ বলেন, “আগের তুলনায় থানার সংখ্যা বেড়েছে। সেই তুলনায় গাড়ি বা লোকবল বাড়েনি। তবে প্রতিটি থানা সারা দিনই টহলদারি চালায়। আলো না জ্বললে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাই।” একই বক্তব্য ডিসি (এসইডি) বাসব দাশগুপ্তের।
শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস, মোটরসাইকেল বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ বাইপাস ধরে বাড়ি ফেরেন। অনেকেরই অফিস থেকে ফিরতে রাত হয়ে যায়। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে অন্ধকারে কেউ হামলা করলে সাধারণ মানুষ কাকে ডাকবেন? পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তার বক্তব্য, বেশি রাতে ট্রাফিক সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়লে ১০৭৩ নম্বরে এবং অন্য কোনও বিপদে পুলিশের সাহায্য দরকার হলে লালবাজারের ১০০ ডায়াল করলেই হবে। লালবাজার সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যাবে।
কিন্তু ১০০ ডায়াল করে যখন পুলিশ আসবে তার আগেই বিপদ যা হওয়ার হয়ে যাবে না তো? শঙ্কিত মানুষের প্রশ্ন এখন এটাই।

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.