|
|
|
|
টুকরো খবর |
বেতন মেলেনি, ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শুক্রবার, মাসের ১১ তারিখেও বেতন না-হওয়ায় ক্ষুব্ধ খড়্গপুর মহকুমার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মাস পয়লায় বেতন মেলার কথা। কিন্তু, ক’মাস ধরেই খড়্গপুরের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তা পাচ্ছেন না। যেমন এপ্রিলের বেতন শুক্রবারও পাননি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। জেলা শিক্ষা দফতরের কর্মকর্তাদের আশ্বাস, দু’-একদিনের মধ্যেই বেতন মিলবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “কিছু স্কুল থেকে সময়ে রিক্যুইজিশন আসে না। এলেও কাগজপত্রে ভুল থাকে। সেগুলি সংশোধনের জন্য পাঠাতে হয়। তাই দেরি। ট্রেজারির সঙ্গে কথা বলেছি। দু’-এক দিনের মধ্যেই বেতন সমস্যা মিটবে।” একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকার অবশ্য অভিযোগ, খড়্গপুরে সহকারী জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরের কিছু কর্মচারীর গয়ংগচ্ছ কাজের দরুন এই বিলম্ব। মহকুমায় প্রায় ৩৫০টি মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। রাজ্যের নতুন সরকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাস পয়লা বেতন দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর-সহ অন্যত্র সেই মতোই বেতন মিললেও খড়্গপুর মহকুমায় সমস্যা হচ্ছে। অভিযোগ, শিক্ষা দফতরের একাংশ কর্মীর কাজের ক্ষেত্রে গড়িমসিই এই সমস্যার মূলে। রিক্যুইজিশন জমা পড়লেও তা বিল করে ট্রেজারিতে পাঠাতে দেরি করেন তাঁরা। জেলা শিক্ষা দফতর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, “এ মাসেও ৯টি স্কুল ভুল রিক্যুইজিশন পাঠিয়েছে। ফলে ট্রেজারি বেতন আটকে দিয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি স্কুলের জন্যই বাকি স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।” সাধারণত, মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই পরের মাসের জন্য প্রতিটি স্কুল থেকে রিক্যুইজিশন জমা পড়ার কথা সংশ্লিষ্ট মহকুমার সহকারী জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে। পরে রিক্যুইজিশন থেকে বিল তৈরি করে তা ট্রেজারিতে পাঠানো হয়। ট্রেজারি থেকে বেতন বাবদ অর্থ জমা পড়ে ব্যাঙ্কে।
|
পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
থানা-চত্বরে আবাসনে উদ্ধার হল এক পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার সকালে দাঁতন থানায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম মোল্লা আবদুল্লা মালেক (৫৮)। দাঁতন থানার ওই সাব-ইনস্পেক্টরের বাড়ি বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানা এলাকার মীরপুর গ্রামে। সেখানেই তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে থাকতেন। দাঁতন থানার পুলিশ আবাসনে একা থাকতেন আবদুল্লা মালেক। এ দিন সকালে বাড়ির পরিচারিকা কাজ করতে এসে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন থানার পুলিশ কর্মী-আধিকারিকেরা। পুলিশের দাবি, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন আবদুল্লা। তাই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। অন্য দিকে, খবর পেয়ে এ দিন দাঁতনে আসেন মৃতের স্ত্রী মাসুদা বেগম, ছোট মেয়ে সুরজা ইয়াসমিন ও দুই জামাই জাকির হোসেন, গোলাম নবি। অত্যধিক কাজের চাপে আবদুল্লা বিপর্যস্ত ছিলেন বলে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন। তবে, কোথাও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এ দিন বিকেলেই মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। |
|
|
|
|
|