হাওড়া পুলিশের ১০০ ডায়ালে বাইরে থেকে আসা ফোন নম্বর চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় ভুয়ো ফোনে জেরবার পুলিশ। আবার কিছু ক্ষেত্রে ভুয়ো ফোন যিনি করছেন, তাঁকে চিহ্নিত করা গেলেও ব্যবস্থা নিতে ইতস্তত করছে পুলিশ। ফলে ১০০ ডায়াল নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের হয়রানি বাড়ছেই।
গত সেপ্টেম্বরে হাওড়ায় পুলিশ কমিশনারেট হওয়ার পরে সাধারণের কাছে দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু হয় ১০০ ডায়াল। প্রাথমিক ভাবে এই ব্যবস্থা শিবপুর পুলিশ লাইনে চালু হলেও মাস তিনেক আগে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট অফিসের নীচে স্থায়ী ভাবে আসে। দিন-রাত এই পরিষেবা চালু রাখতে দু’জন করে অফিসার পর্যায়ক্রমে ডিউটিও দেন।
পুলিশ জানায়, ১০০ ডায়াল চালুর পরে প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে ফোন আসতে থাকে। গত কয়েক মাসের ফোন-কল বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, ৯৯% ফোন ভুয়ো। হয় ফোন করে পুলিশকে অশালীন কথা বলা হচ্ছে, নয়তো অন্য প্রান্ত থেকে শব্দই শোনা যাচ্ছে না। দিনের পর দিন এমন ঘটায় বিরক্ত অফিসারেরাও। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্য জেলা থেকে ফোন আসা। এক অফিসার জানান, কলকাতা পুলিশ এলাকার পাশাপাশি বজবজ, উলুবেড়িয়া থেকেও ফোন আসে।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) নিশাদ পারভেজ জানান, গত মার্চে ১০০ ডায়ালে ২৪,১১৯টি ফোন এসেছে। এর মধ্যে কাজের ফোন মাত্র ২২৭। এপ্রিলে আসা ২৩,৯৮১টি ফোনের মধ্যে ২৩,৭৪০টি ‘ব্ল্যাঙ্ক কল’। ২৬টি ফোনে অশালীন কথা বলা হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ায় ১০০ ডায়ালে কলকাতা পুলিশের মতো ফোন চিহ্নিতকরণের (ফোন ড্র্যাগার) ব্যবস্থা নেই। তাই এই হেনস্থা।
কিন্তু যাঁরা ফোন করে অশালীন কথা বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? ডিসি (সদর) বলেন, “এখনও ব্যবস্থা নিইনি। কিছু ক্ষেত্রে শিশু বা কিশোরেরা ভুয়ো ফোন করেছে। তাদের বাবা-মায়েদের সতর্ক করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না দেখতে হবে।” |