|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন... |
|
অন্য সঙ্গিনী |
এসকর্ট সার্ভিস। তাই নিয়ে ছবি। ‘কয়েকটি মেয়ের গল্প’। সত্যি জীবন থেকে নেওয়া। লিখছেন ইন্দ্রনীল রায় |
দ্রুত বদলাচ্ছে কলকাতা।
বদলে গেছে এতটাই যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আউট হলে ইডেন গার্ডেন্স খুশিতে চিৎকার করে ওঠে।
বদলে গেছে এতটাই যে পার্কের বদলে ছেলেমেয়েরা আড্ডা মারার জায়গা হিসেবে বেছে নিচ্ছে শপিং মল’এর ফুড কোর্ট।
এখানে মাঝরাতের কথাবার্তা আর টেলিফোনে হয় না। হয় স্কাইপি-তে।
কী দ্রুত বদলে যাচ্ছে এই কলকাতা।
আর এই ঝড়ের গতিতে বদলে যাওয়া শহরে পরিচালক সুব্রত সেন এমন কয়েকটি মেয়ের জীবনের গল্প নিয়ে ছবি করেছেন যারা ‘এসকর্ট সার্ভিস’-এ কাজ করে। তাই নিয়েই ‘কয়েকটি মেয়ের গল্প’। |
|
অভিনয় করেছেন রাইমা সেন, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পার্নো মিত্র, লকেট চট্টোপাধ্যায়, কাঞ্চনা মিত্র এবং মমতাজ সরকার। মুক্তি ২৫ মে। ভাবনার নতুনত্বের জন্য ছবিটি ইতিমধ্যে রীতিমতো আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। “এ শহরের জীবনের এমন একটা অজানা দিক ছবিতে দেখানো হয়েছে, দর্শক অবাক না হয়ে পারবেন না,” বলছেন ছবির সহ-প্রযোজক রানা সরকার। তাঁর সঙ্গী প্রযোজক সংস্থাটির নাম আলগোজ এন্টারটেনমেন্ট। ছবির ‘কয়েকটি মেয়ে’ও বেশ উত্তেজিত ছবি নিয়ে। “যে সব মেয়ে এসকর্ট সার্ভিসে কাজ করেন তাঁদের প্রতি খুব সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজটি করা হয়েছে। এই মেয়েদের জীবনে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতাও কাজ করে। সেই জায়গাগুলিকে ছবিতে সূক্ষ্ম ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। দর্শক এমন মেয়েদের জীবন ছবির পর্দায় দেখে অবাক হয়ে যাবেন,” বলছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। পরিচালক সুব্রত সেন মনে করছেন এ ছবি দেখে দর্শক শুধুই ‘শক্ড’ হবেন না, তাঁরা এসকর্ট সার্ভিসের মেয়েদের জীবন সম্পর্কে অনেক অজানা কথাও জানতে পারবেন।
পরিচালক এমন একটা বিষয় নিয়ে ছবি করতে ‘হোম ওয়ার্ক’ করেছেন কতটা? “হ্যাঁ, বিস্তর হোম ওয়ার্ক করেছি,” বলছেন সুব্রত, “এসকর্ট সার্ভিসে কাজ করা মেয়েদের সঙ্গে দেখা করে তাদের জীবন সম্পর্কে জেনেছি। জেনেছি তারা কোন ধরনের পরিস্থিতেতে দাঁড়িয়ে এই কাজে নেমেছে। জেনেছি ওদের মধ্যে কেউ কেউ কী ভাবে বাধ্য হয়ে এই পেশায় এসেছে। ওদের বাস্তব জীবন আমি ছবির গল্পে এনেছি। সব চেয়ে আশ্চর্যের কথা কী জানেন? আমরা জানতেও পারি না এই ধরনের এসকর্ট সার্ভিসে কাজ করা মেয়েদের কেউ কেউ আমাদেরই পাশের বাড়ির বাসিন্দা,” বলছেন পরিচালক।
‘কয়েকটি মেয়ের গল্প’র আরেক অভিনেত্রী পার্নো মিত্ররও একই কথা। “এ ছবি আমাদের এখনকার সমাজের আয়না,” বলছেন পার্নো। “‘কয়েকটি মেয়ের গল্প’ এই শহরকে পুরোপুরি অন্য আলোয় ধরার চেষ্টা করেছে। বেশির ভাগ সময়ই এই সব প্রসঙ্গ নানা আস্তরণে ধামা চাপা পড়ে থাকে। সৌভাগ্য এটাই যে এই ধরনের বিষয় নিয়ে এখন সিনেমা হচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা, সেটা হচ্ছে যথেষ্ট সংবেদনশীল ভাবে।” |
|
|
|
|
|