বৃহৎ বাঁধ-বিরোধী আন্দোলনে এ বার সামিল হচ্ছে নাগাল্যান্ডের মানুষজনও। অসম, অরুণাচল, মণিপুরের পরে, ভারত-মায়ানমারের নাগারাও বাঁধের কুফল আর জমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রতিবাদে একজোট হচ্ছেন।
মায়ানমারের চিন্দউইন নদীর উপরে তামান্থি বাঁধ বানাচ্ছে ভারতের এনএইচপিসি। ভারত-মায়ানমারের মধ্যে, ২০০৪ সালের চুক্তির ভিত্তিতেই ভারত মায়ানমার সীমান্তে এই বাঁধটি তৈরি করা হচ্ছে। ২০০৭ সালে বাঁধের কাজ শুরু হয়। বাঁধ গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই মায়ানমারে থাকা ৪৫ হাজার নাগাকে ভূমিচ্যুত হতে হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই, মায়ানমার ও ভারতের নাগা সংগঠনগুলি এক হয়ে আন্দোলনে নেমেছে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারতের অন্যান্য সংগঠনও। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্পের বাঁধটি তৈরি হলে প্রায় ১৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের সাগায়িং ডিভিশনে বাঁধটি গড়া হচ্ছে। এই এলাকা এনএসসিএন খাপলাং বাহিনীর সদর দফতর।
নামে মায়ানমার হলেও নাগারা সাগাইংকে পূর্ব নাগাল্যান্ড বলেই ডাকেন। নাগা শহর হোমালিন থেকে বাঁধটি ৩৫ কিলোমিটার দূরে। নাগা সংগঠনগুলির দাবি, ২০০৭ সালে ২৪০০ গ্রামবাসীকে মাথাপিছু মাত্র ৫ ডলার করে ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি থেকে উৎখাত করা হয়। নাগা হো হো একে মানবাধিকার ভঙ্গ ও প্রতারণা বলে মনে করছে। চুক্তি অনুযায়ী ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাবে দিল্লি, বাকিটা পাবে মায়ানমার। বাঁধের উচ্চতা হবে ৮০ মিটার। এই প্রকল্পের জন্য মোট ১ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যূত হতে হবে বলে অভিযোগ। অন্যায় ভাবে জমি অধিগ্রহণ ও বাঁধের প্রভাব নিয়ে নাগা সংগঠনগুলি ভারত ও মায়ানমারের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানিয়েছে। |