সঙ্ঘের স্পষ্ট নির্দেশের পরে আজ নিতিন গডকড়ীর সভাপতি পদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করল বিজেপি।
এ মাসের শেষে মুম্বইয়ে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের রূপরেখা স্থির করতে আজ সন্ধ্যায় দিল্লিতে দলের সদর দফতরে বৈঠকে বসেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। অসুস্থ লালকৃষ্ণ আডবাণী না থাকলেও অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ-সহ বিজেপির পদাধিকারীরা হাজির ছিলেন সেখানে। বৈঠকে স্থির হয়, মুম্বই অধিবেশনেই সভাপতি পদের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি অনুমোদন করানো হবে। আর ডিসেম্বরে গডকড়ীর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে জাতীয় পরিষদের বৈঠক ডেকে সেটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মঞ্জুর করা হবে।
লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত গডকড়ীকে সভাপতি পদে টিকিয়ে রাখার জন্য গোড়া থেকেই তৎপর ছিলেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। তবে উত্তরপ্রদেশের ভোটে ভরাডুবি ও নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গডকড়ীই দলে ‘একঘরে’ হয়ে পড়েছিলেন। ফলে সভাপতি পদে তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার আশঙ্কা ছিল। এই পরিস্থিতিতে সঙ্ঘ নেতৃত্ব বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে টানা দু’দিন বৈঠক করেন সঙ্ঘের শীর্ষ নেতারা। সেখানেই গডকড়ীর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
স্থির হয়েছে, সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ নেতা মুরলীধর রাও গডকড়ীর দফতরে কাজ করবেন। রাজ্যগুলির সঙ্গে বিজেপি সভাপতির সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই অভিনব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিজেপি নেতা অনন্তকুমারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান। শুধু বলেন, “জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সাংগঠনিক নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া রাজনৈতিক, আর্থিক প্রস্তাবও গৃহীত হবে। কৃষি ক্ষেত্রের দুর্দশা নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে।” তবে সভাপতি পদে গডকড়ীর মেয়াদ তিন বছর না তারও বেশি বাড়ানো হবে, সেই বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
রাজনাথ সিংহের আমলেও সভাপতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে দলে তৎপরতা শুরু হয়েছিল। কিন্তু অনেক নেতার আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি। এ বারে সঙ্ঘের আশীর্বাদধন্য গডকড়ীর বেলায় সেই প্রক্রিয়া মসৃণ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এর পরেও জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বাকি নেতারা, বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদী কী মনোভাব নেন, সে দিকে অনেকে তাকিয়ে। |