বফর্স কেলেঙ্কারির পরে এই প্রথম কোনও কামান কিনতে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। আজ মন্ত্রকের এক বৈঠকে আমেরিকা থেকে ১৪৫টি অত্যন্ত হাল্কা এম ৭৭৭ হাউইৎজার কামান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খরচ পড়বে অন্তত তিন হাজার কোটি টাকা। এই ধরনের কামান কেনার এই সিদ্ধান্তটি যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়, সে ক্ষেত্রে ২৬ বছর পরে এই প্রথম কোনও কামান কিনবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ১৯৮৬ সালে বফর্স সংস্থার থেকে হাউইৎজার কামান কেনা নিয়ে ঘুষের অভিযোগ ওঠার পরে তা জাতীয় রাজনীতির অভিমুখই বদলে দিয়েছিল। তার পরে এ যাবৎ আর কোনও কামান কেনা হয়নি। |
এই সেই এম ৭৭৭ হাউইৎজার কামান। |
সম্প্রতি ভারতীয় সেনাধ্যক্ষ বিজয়কুমার সিংহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে দেশের তিন বাহিনীর অস্ত্রের হাল নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। এ-ও বলেছিলেন, ভারতীয় স্থলবাহিনীর কাছে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদই নেই। তার পরে এ দিন দেশের অস্ত্রভাণ্ডারের আধুনিকীকরণের জন্য মোট সাত হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তার মধ্যে হাউইৎজার কামান ছাড়াও রেডার, নৌবাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ জাহাজ, স্থল এবং বায়ুসেনার ‘টার্গেট’, টি-৯০ ট্যাঙ্কের জন্য ‘সিমুলেটর’ কেনার প্রস্তাব আছে। তবে হাউইৎজার কামান কেনার সিদ্ধান্তই সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।
এই ১৫৫ মিমি (৩৯ ক্যালিবার) হাউইৎজার কামান মার্কিন বিএই সংস্থার তৈরি। বিশ্বে এটাই প্রথম ১৫৫ মিমি কামান, যার ওজন ৪২১৮ কেজির কম। মিনিটে পাঁচ রাউন্ড করে গোলা ছোড়া যাবে এই কামান থেকে, পাল্লা সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার। কামানটি চালাতে লাগবে পাঁচ জন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্রের খবর, অরুণাচলপ্রদেশ এবং লাদাখের মতো এলাকায় বসানোর জন্য এই বিশেষ ধরনের কামান কেনা হচ্ছে। অর্থাৎ চিনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়াই এর লক্ষ্য।
বেশ ছোট এবং অত্যন্ত হাল্কা হওয়ায় হেলিকপ্টার এবং ট্রাকেও এই কামান নিয়ে যাওয়া যাবে। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে এই কামান নেওয়া যাবে অনেক তাড়াতাড়ি। আফগানিস্তানে এই কামানের ব্যবহার বেশ কার্যকর হয়েছে বলেই মার্কিন সেনার দাবি। |