|
|
|
|
সন্দেহভাজন তিন যুবক গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের মুরারই শাখা থেকে শুক্রবার দুপুরে সন্দেহভাজন এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পরে ওই যুবককে জেরা করে পুলিশ মুরারই ভাদিশ্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আরও দু’জনকে ধরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিন যুবকের নাম যথাক্রমে এন বীরভদ্র, কালিদাস মুদালিয়ার এবং জগন স্বামী। জেরায় জানা গিয়েছে, বীরভদ্রের বাড়ি কর্ণাটকের মালুয়া এলাকায়। অন্য দু’জন ব্যান্ডেলের বালিঘাট এলাকার। যদিও পুলিশ মনে করছে, ঠিকানাগুলি ভুয়োও হতে পারে।
রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অবধেষ পাঠক বলেন, “ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা কী কারণে ব্যঙ্কে এসেছিল এবং তাদের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কেও খতিয়ে দেখা হবে।” পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, রামপুরহাটে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ব্যাঙ্ক ডাকাতির সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগাযোগ আছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।
ব্যাঙ্ক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ওই শাখাটি মুরারইয়ের রেলগেট সংলগ্ন ভাদিশ্বর এলাকায় অবস্থিত। এ দিন সাড়ে দুপুরে ১২টা নাগাদ তিনজন ব্যক্তি গ্রাহক পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্কে ঢুকেছিলেন। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার নাম করে এবং টাকা তোলার নাম করে ফর্ম চেয়ে তারা ব্যাঙ্কের কাউন্টারের সামনে চলে আসেন। পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি ব্যাঙ্কের ভেতরে ঢুকে ক্যাশবাক্সের কাছে চলে আসেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্কের শাখা প্রবন্ধক পরেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই যুবকদের গতিবিধি সন্দেহজনক ঠেকায় আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের নজরে রেখেছিলেন। ক্যাশকাউন্টার থেকে চলে যেতে বললে ওই যুবক অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করেন।” সেই সুযোগেই অন্যসঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এরপরেই ডাকাতির আশঙ্কায় ব্যাঙ্ক থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ তিনজনকেই গ্রেফতার করে। ব্যাঙ্কের কর্মী গোলাম গাউস বলেন, “এ দিন ব্যাঙ্কে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে টাকা পেমেন্টের দিন ছিল। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাঙ্কে ভিড় ছিল। ভিড়ের মধ্যে তিনজনকে ক্যাশকাউন্টারের সামনে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়।”
জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ওই যুবকদের গচিবিধি সন্দেহভাজন থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ধৃতদের আদালতে হাজির করিয়ে পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|