|
|
|
|
‘তোলা’ আদায় ৬ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
লালবাতি লাগানো গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে অবৈধ কয়লা বোঝাই বেশ কয়েকটি গরুর গাড়ি থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের এক ইন্সপেক্টর-সহ ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই ছ’জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার বিকালের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে বোলপুর থেকে খয়রাশোলে গিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার খয়রাশোলের লোকপুর থেকে দুবরাজপুর রাস্তা ধরে ফেরার পথে আগয়া গ্রামের কাছে অবৈধ কয়লা বোঝাই গরুর গাড়ি থেকে তোলা আদায় শুরু করেন ওই পুলিশকর্মীরা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। ঘটনার খবর পৌঁছয় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। এর পরেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের দুবরাজপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশ বৃহস্পতিবার রাতেই তদন্তে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবস্মিতা দাশ। রাতভর দুবরাজপুর থানাতেই ছিলেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা। শুক্রবার সকালে সিউড়িতে এক সংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওই এলাকায় অবৈধ কয়লা কারবার দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্ধমান ও ঝাড়খণ্ড থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা এনে কাঁকরতলা, খয়রাশোল ও দুবরাজপুর হয়ে বীরভূমের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের দাবি, অবৈধ কয়লা কারবার বন্ধে লাগাতার অভিযান চলছে। কিন্তু সেই অভিযান যে খুব একটা কার্যকরী হয়নি, বৃহস্পতিবারের ঘটনাই তা প্রমাণ করেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য। যে ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের অন্যতম রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ইনস্পেক্টরের দাবি, “আমাদের গাড়ি দেখে অবৈধ কয়লা বোঝাই গরুর গাড়ির গাড়োয়ানরা প্রথমে পালিয়ে গেলেও পরে কিছু টাকা আমাদের মিষ্টি খেতে দিয়েছিল। জোর করে কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি।” |
|
|
|
|
|